ত্রিভুজ প্রেমের ফাঁদ থেকে নিজেকে সামলে নেয়ার ৫টি ধাপ!
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি হওয়ার পর থেকে আপনার খুব ভালো কিছু বন্ধু হয়ে গিয়েছে, গত একটি বছর পার করে দিয়েছেন ঘোরাঘুরি আর আনন্দ করেই। বন্ধুত্বটাকে আশীর্বাদ মনে হতো আপনার। কিছুদিন আগে বন্ধুদের মধ্যেই একটি ছেলেকে ভালোবেসে সম্পর্কেও জড়িয়েছেন আপনি। কিন্তু এর পরেই ঘটেছে বিপত্তি। আপনি সম্পর্কে জড়ানোর পর পরই আপনার আরেক বন্ধুর আচরণের পরিবর্তন হয়ে গেলো। কথায় কথায় আপনাকে খোঁচা মারে, কিছুটা এড়িয়ে চলে, আবার মাঝে মাঝে বেশ আপত্তিকর কথাবার্তাও বলে। একটা সময়ে আপনি বুঝে গেলেন আপনি ত্রিভুজ প্রেমের ফাঁদে পরেছেন! জীবনের যে কোনো ধাপে এসেই আপনি ত্রিভুজ প্রেমের ফাঁদে পড়তে পারেন। সেটা হতে পারে আপনি একই সঙ্গে দুজনকে ভালোবেসে ফেলেছেন অথবা এমনও হতে পারে যে দুজন ব্যক্তি আপনার প্রেমে পড়েছেন। দুটি পরিস্থিতিই বেশ বিব্রতকর এবং নানান রকম সমস্যা সৃষ্টির জন্য দায়ী। আসুন দেখে নেয়া যাক ত্রিভুজ প্রেমের সমস্যা সামলে নেয়ার ৫টি উপায়।
নিজের মনকে জিজ্ঞেস করুন আপনি যদি এক সঙ্গে দুজনের সাথে সম্পর্কে জড়িয়ে যাওয়ার পরিস্থিতি হয় কিংবা একই সঙ্গে দুজন ব্যাক্তি আপনাকে ভালোবাসার প্রস্তাব দেয় তাহলে নিজের মনের সাহায্য নিন। যেহেতু যে কোনো একজনকেই বেছে নিতে হবে তাই নিজের মনকে প্রশ্ন করুন যে কাকে আপনি বেশি ভালোবাসেন অথবা কার প্রতি আপনার আগ্রহ আছে। বর্তমান ও ভবিষ্যতের সব দিক চিন্তা করেই সিদ্ধান্ত নিন। কারণ আপনার সিদ্ধান্তের উপর নির্ভর করবে আপনার ভবিষ্যত।
যোগাযোগ কমিয়ে দিন যদি ত্রিভুজ প্রেমের জটিলতায় যেতে না চান তাহলে যে ব্যক্তিটিকে আপনি ভালোবাসেন না কিংবা যার সাথে সম্পর্কে যেতে চান না তার সাথে যোগাযোগ কমিয়ে দিন। কারণ যোগাযোগ করলে সম্পর্ক আরো গভীর হয়। হতে পারে সে আপনার খুব কাছের কোনো বন্ধু। কিন্তু ত্রিভুজ প্রেমের সম্পর্ককে প্রশ্রয় দিয়ে তার এবং আপনার দুজনেরই মানসিক চাপে ভুগতে হবে। তাই ভবিষ্যতের মানসিক জটিলতা এড়ানোর জন্য আগে থেকে যোগাযোগ কমিয়ে দেয়া উচিত এবং এড়িয়ে চলা উচিত।
সৎ থাকুন ত্রিভুজ প্রেমের ক্ষেত্রে নিজের কাছে সৎ থাকা বেশ কঠিন হয়ে পড়ে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এ সময়ে মানুষ নিজের সাথে এবং নিজের ভালোবাসার মানুষটির সাথে প্রতারণা করে। দুজন মানুষের কাছে এক সঙ্গে প্রাধান্য পেয়ে দ্বিধা ও সিদ্ধান্তহীনতায় ভোগে বেশিরভাগ মানুষ। ফলে দুজনের সাথেই সম্পর্ক চালিয়ে যাওয়া কিংবা একজনকে ছেড়ে আরেকজনের কাছে চলে যাওয়ার মত সমস্যাগুলো দেখা দেয়। তাই ত্রিভুজ প্রেমের ফাঁদে পড়লে নিজের কাছে সচ্ছ থাকুন এবং সততা বজায় রাখুন। এটাই আপনাকে রক্ষা করবে এই চোরাবালি থেকে।
কথা বলুন যোগাযোগ কমিয়ে দেয়ার পরেও যদি দেখেন যে ত্রিভুজ প্রেম নিয়ে সমস্যায় পড়ছেন তাহলে যে ব্যক্তির কিংবা ব্যক্তিদ্বয়ের জন্য সমস্যা হচ্ছে তাদের সাথে সরাসরি এ ব্যাপারে কথা বলুন। তাদেরকে বুঝিয়ে বলুন যে আপনি কী চাইছেন। তাদের ভবিষ্যতের কথা ভাবতে বলুন এবং সরাসরি বলে দিন যে আপনি এই সম্পর্কে আগ্রহী নন। সরাসরি কথা বলে অনেক সমস্যাই সমাধান করা সম্ভব।
নিজেকে মানসিক ভাবে শক্ত রাখুন ত্রিভুজ প্রেমের ক্ষেত্রে যে কোনো একজন ব্যক্তি কষ্ট পাবেই। আকস্মিক কষ্টে অনেকেই ভেঙে পরে এবং অনেক রকম অঘটন ঘটিয়ে ফেলার সম্ভাবনা থাকে। আপনি যখন ত্রিভুজ প্রেমের ফাঁদে পড়ে যাবেন তখন নিজের মনকে যে কোনো পরিস্থিতির জন্য শক্ত রাখার চেষ্টা করুন। কারণ আপনি যদি মনকে শক্ত রাখতে না পারেন তাহলে হঠাৎ আবেগপ্রবণ হয়ে ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে নেয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই যে কোন পরিস্থিতিতেই মনকে শক্ত রাখুন এবং নিজের সিদ্ধান্তে অনড় থাকুন।
নিজের মনকে জিজ্ঞেস করুন আপনি যদি এক সঙ্গে দুজনের সাথে সম্পর্কে জড়িয়ে যাওয়ার পরিস্থিতি হয় কিংবা একই সঙ্গে দুজন ব্যাক্তি আপনাকে ভালোবাসার প্রস্তাব দেয় তাহলে নিজের মনের সাহায্য নিন। যেহেতু যে কোনো একজনকেই বেছে নিতে হবে তাই নিজের মনকে প্রশ্ন করুন যে কাকে আপনি বেশি ভালোবাসেন অথবা কার প্রতি আপনার আগ্রহ আছে। বর্তমান ও ভবিষ্যতের সব দিক চিন্তা করেই সিদ্ধান্ত নিন। কারণ আপনার সিদ্ধান্তের উপর নির্ভর করবে আপনার ভবিষ্যত।
যোগাযোগ কমিয়ে দিন যদি ত্রিভুজ প্রেমের জটিলতায় যেতে না চান তাহলে যে ব্যক্তিটিকে আপনি ভালোবাসেন না কিংবা যার সাথে সম্পর্কে যেতে চান না তার সাথে যোগাযোগ কমিয়ে দিন। কারণ যোগাযোগ করলে সম্পর্ক আরো গভীর হয়। হতে পারে সে আপনার খুব কাছের কোনো বন্ধু। কিন্তু ত্রিভুজ প্রেমের সম্পর্ককে প্রশ্রয় দিয়ে তার এবং আপনার দুজনেরই মানসিক চাপে ভুগতে হবে। তাই ভবিষ্যতের মানসিক জটিলতা এড়ানোর জন্য আগে থেকে যোগাযোগ কমিয়ে দেয়া উচিত এবং এড়িয়ে চলা উচিত।
সৎ থাকুন ত্রিভুজ প্রেমের ক্ষেত্রে নিজের কাছে সৎ থাকা বেশ কঠিন হয়ে পড়ে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এ সময়ে মানুষ নিজের সাথে এবং নিজের ভালোবাসার মানুষটির সাথে প্রতারণা করে। দুজন মানুষের কাছে এক সঙ্গে প্রাধান্য পেয়ে দ্বিধা ও সিদ্ধান্তহীনতায় ভোগে বেশিরভাগ মানুষ। ফলে দুজনের সাথেই সম্পর্ক চালিয়ে যাওয়া কিংবা একজনকে ছেড়ে আরেকজনের কাছে চলে যাওয়ার মত সমস্যাগুলো দেখা দেয়। তাই ত্রিভুজ প্রেমের ফাঁদে পড়লে নিজের কাছে সচ্ছ থাকুন এবং সততা বজায় রাখুন। এটাই আপনাকে রক্ষা করবে এই চোরাবালি থেকে।
কথা বলুন যোগাযোগ কমিয়ে দেয়ার পরেও যদি দেখেন যে ত্রিভুজ প্রেম নিয়ে সমস্যায় পড়ছেন তাহলে যে ব্যক্তির কিংবা ব্যক্তিদ্বয়ের জন্য সমস্যা হচ্ছে তাদের সাথে সরাসরি এ ব্যাপারে কথা বলুন। তাদেরকে বুঝিয়ে বলুন যে আপনি কী চাইছেন। তাদের ভবিষ্যতের কথা ভাবতে বলুন এবং সরাসরি বলে দিন যে আপনি এই সম্পর্কে আগ্রহী নন। সরাসরি কথা বলে অনেক সমস্যাই সমাধান করা সম্ভব।
নিজেকে মানসিক ভাবে শক্ত রাখুন ত্রিভুজ প্রেমের ক্ষেত্রে যে কোনো একজন ব্যক্তি কষ্ট পাবেই। আকস্মিক কষ্টে অনেকেই ভেঙে পরে এবং অনেক রকম অঘটন ঘটিয়ে ফেলার সম্ভাবনা থাকে। আপনি যখন ত্রিভুজ প্রেমের ফাঁদে পড়ে যাবেন তখন নিজের মনকে যে কোনো পরিস্থিতির জন্য শক্ত রাখার চেষ্টা করুন। কারণ আপনি যদি মনকে শক্ত রাখতে না পারেন তাহলে হঠাৎ আবেগপ্রবণ হয়ে ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে নেয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই যে কোন পরিস্থিতিতেই মনকে শক্ত রাখুন এবং নিজের সিদ্ধান্তে অনড় থাকুন।
রিলেশন ও ঝগড়া
রিলেশনকালীন সময়ে ছেলে ও মেয়ের মধ্যে ১টি বারের জন্যও ঝগড়া হয় নি এমন রিলেশনশীপ খুজে পাওয়া দুষ্কর। আশা করি এ নিয়ে কেউ মতবিরোধ করবেন না। এবার আসুন রিলেশনকালীন সময়ে কমন যেসব বিষয় নিয়ে ঝগড়ার সূত্রপাত হয় সে বিষয়গুলো সম্পর্কে আলোকপাত করা যাক। রিলেশনের ৯০% ঝগড়ার উপাদান চার ধরণের, যা ৪ ‘ফ’ নামেও পরিচিতি: ১. ফ্রেন্ডস (মিউচুয়াল ফ্রেন্ডরা বেশি) ২. ফ্যামিলি (প্রধানতঃ কাজিনরা) ৩. ফোন ৪. ফেইসবুক লক্ষ্য করলে দেখা যায় অধিকাংশ ঝগড়ায় এগুলোর অন্ততঃ একটি বা একাধিকের অবদান থাকে। আবার চলমান ঝগড়ার ‘নিয়ামক’ বা ‘প্রভাবক’ হিসেবেও কাজ করে এগুলো।
মাধ্যম: ঝগড়ার মাধ্যমগুলো চিহ্নিত করতে গেলেও মোট ৩টি ‘ফ’ -পাওয়া যাবে: ১. ফোন ২. ফেইসবুক ৩. ফেইস-টু-ফেইস (সামনাসামনি) ঝগড়ার শুরুটা: ঝগড়ার শুরুটা সাধারণতঃ কোন একটা কটুক্তি/খোঁচা মারা কথা বা অভিমান বা জেরাযুক্ত প্রশ্ন থেকে। আবার দীর্ঘ নীরবতা বা দীর্ঘশ্বাস থেকেও জন্ম নিতে পারে ঝগড়া। কাপলের মানসিকতা, রাগের পরিমাণ ও মূল বিষয়ের গুরুত্বভেদে ঝগড়াটা শুরু হতে পারে একবারে বা দফায় দফায়। কিছু লক্ষ্যনীয় বিষয়: ● কয়েক দফা ফোনালাপে ঝগড়ার শুরু হতে পারে। দু’জনেই নিজেদের পয়েন্টগুলো মুখের ওপর বলে দিতে চায়। দফায় দফায় লাইনও কাটা হয়। ● ঝগড়া শুরুর পরপরই অনেকে নিজের বা বয়ফ্রেন্ড বা গার্লফ্রেন্ডের ফ্রেন্ড (বিশেষতঃ মিউচুয়াল ফ্রেন্ডদের) বা কাজিন-টাজিনদের ঝগড়ার কথা জানায়। অনেকে আবার না জানালেও মন-টন খারাপ করে তাদের ফোন দেয়। ● অনেককে দেখা যায় নিজেদের কথা সরাসরি অপরজনকে না বলে ভায়া (বন্ধু/কাজিন প্রভৃতি) বলানোর। এতে করে সরাসরি তোপ থেকে মুক্তি মিললেও প্রায়ই কমিউনিকেশন গ্যাপের কারণে আরো বড় ঝগড়ার সৃষ্টি হয়। ● অনেক ঝগড়াই একদম এই প্রথম স্টেজেই মিলে যায়। এটার বেশ ক’টি কারণ আছে: ‘পরস্পরের প্রতি টান’ বা ‘এই ঝগড়ার চাইতেও বড় কোন সমস্যা জীবনে আসা…’ ইত্যাদি। তবে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই কারণটা ক্লান্তি, বিরক্তি, ‘কি দরকার, ভালোই তো ছিলাম…’ বা স্যাক্রিফাইজিং মনোভাব। প্রকারভেদ: ১. ““তুমি এটা বললা কেন?” -ঝগড়া: রিলেশনের ঝগড়ার মোস্ট টিপিক্যাল ফর্ম এই ধরণের ঝগড়া। গার্লফ্রেন্ড বা বয়ফ্রেন্ডের বলা কোন কথা গায়ে বিপরীতজনের গায়ে লাগা থেকে এমন ঝগড়ার সূত্রপাত। তবে এ ধরণের ঝগড়া বেশিদিন টিকে না। সূত্রপাত: ফেইস-টু-ফেইস, ফোন, ফেইসবুক কমন ডায়লগ: ● “তাই বলে এভাবে বলবা?” ● “এটা দিয়ে কি mean করলা?” ● “ও… তোমাকে বললে তোমার মনে হয়… কিন্তু আমার কিছু মনে হতে পারবে না??” ● “আজব!!!” ২. “তুমি আর তোমার স্টুপিড ফ্রেন্ডরা…” – ঝগড়া: ফ্রেন্ডদের বলা কোন কথা বা কোন বেকুবী এ ধরণের ঝগড়ার জন্ম দেয়। তবে বাস্তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ঝগড়ার উৎস বয়ফ্রেন্ডের বন্ধুরা। বন্ধুদের বেশি সময় দেয়া নিয়েও হতে পারে ঝগড়া। কমন ডায়লগ: ● “থাকো তুমি তোমার ফ্রেন্ডদের নিয়ে!” ৩. ফেইসবুকে ঝগড়া: ওরে বাপরে! ভয়ংকর ধরণের ঝগড়া এটা। মানুষ যে ফেইসবুককে ২য় জীবন বানিয়ে ফেলেছে তারই প্রভাব এটা। এ ধরণের ঝগড়া অনেক কারণে লাগতে পারে: ● অপরিচিত/বাস্তবে পরিচিত কিন্তু অপছন্দ ব্যক্তির ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট (এবং/অথবা Accept করা) ● ছবি বা স্ট্যাটাসে উল্টোপাল্টা কমেন্ট ● লাগাতার কমেন্ট ও লাইক আদান-প্রদান ● চ্যাটে দেরি করে জবাব দেয়া ● ফেইসবুকে এক্সের পুনরাবর্তন (“আমাদের মধ্যে কিছু নাই, জাস্ট ফ্রেন্ড” – দাবি করে) কমন ডায়লগ: ● “আমি বলছি তাই ব্লক করবা…. আর কোন কারণ তো দরকার নাই?” ● “তোমার ফ্রেন্ডদের নিয়েতো আমার কোন সমস্যা নাই…!!” ● “ফেইসবুকে কে আমার ফ্রেন্ড হবে না হবে সেটা কি তুমি ঠিক করবা?” কমন প্রতিক্রিয়া: ● ফেইসবুক প্রোফাইল ডিঅ্যাক্টিভেট/ডিলেট। ● বিবাদমান ফ্রেন্ড/বয়ফ্রেন্ড/গার্লফ্রেন্ডকে ফ্রেন্ডলিস্ট থেকে রিম্যুভ। ● “আগামী কয়েক মাস ফেইসবুকে আসা হবে না….” টাইপের স্ট্যাটাস দিয়ে ৯ দিনের মাথায় কামব্যাক! ৪. “ওই মেয়ের সাথে তোমার এতো কি?” -ঝগড়া: বুঝতেই পারছেন এই ঝগড়ায় মূল ভূমিকা গার্লফ্রেন্ডের। বয়ফ্রেন্ডের অন্য কোন মেয়ের সাথ অন্তরঙ্গতা/হেসে হেসে কথা বলা/সঙ্গ দান থেকে এ ধরণের ঝগড়ার সূত্রপাত। অনেক সময় ছেলের উদ্দেশ্য সৎ থাকলেও ঝগড়া বেঁধেই যায়। কমন ডায়লগ: ● “আমি বললে তো কখনো করো না…” ● “OK যাও! ঐ মেয়ের কাছে যাও… আমাকে তো আর তোমার দরকার নাই…” (কৃত্তিম অভিমানের সুরে) ● “আমাকে তো আর এখন তোমার ভালো লাগে না…. আমিতো পুরান হয়ে গেছি…” (ডায়লগটি অত্যন্ত ক্ষ্যত এবং বললেও সাধারণত কৃত্তিম অভিমানের সুরেই বলা হয়ে থাকে) ৫. ইগনোরেন্স/অবহেলা ঝগড়া: গার্লফ্রেন্ড বা বয়ফ্রেন্ডের প্রতি কোন অবহেলা বা Ignorance থেকে এ ঝগড়ার শুরুটা। স্বভাবগতভাবেই অ্যাটেনশন সিকিং হলেও মানুষ রিলেশনে এসে আরো বেশি মাত্রায় অ্যাটেনশন চায়। আর তার মধ্যে যদি কোন পক্ষের গাফিলতি হয়, তাহলে তো কোন কথাই নেই… মূহুর্তেই বেঁধে যায় তুমুল ঝগড়া। রিলেশনে ছেলেদের মধ্যে কেয়ারলেস ভাবটা বেশি দেখা যায়। আর তাই অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এ ধরণের ঝগড়ার রাগটা জমতে দেখা যায় গার্লফ্রেন্ডের মনে। কমন ডায়লগ: ● “একবারো খোঁজ নিসো…বলো?” ● “আধাঘন্টা ধরে আমি দাঁড়ানো…” ● “এমনিতেই দেখা হয় সপ্তাহে একবার…. তারপর ডেটে এসেও মোবাইলটা টেপাই লাগবে?” ● “৪টা পর্যন্ত জেগে ছিলাম… তারপর আর পারি নাই।” ৬. সন্দেহভাজন ঝগড়া: অন্য কারো সাথে বয়ফ্রেন্ড বা গার্লফ্রেন্ড্রের রিলেশন চলছে – এমন সন্দেহের থেকে বা নিশ্চিত হয়েই এ ধরণের ঝগড়া শুরু হয়। এ ধরণের ঝগড়াই সবচেয়ে বেশি ব্রেকআপে রূপ নিতে দেখা যায়। মজার ব্যাপার মেয়েরা যেভাবে ছেলেদের সরাসরি জিজ্ঞেস করে ফেলে তাদের সন্দেহের ব্যাপার। কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ছেলেরা সেটা করে না। উল্টো তাঁরা খোঁচায়। খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে তথ্য বের করে করে মূল পয়েন্টে নিয়ে আসে। কমন ডায়লগ: ● “১ ঘন্টা ধরে ওয়েটিংয়ে, কার সাথে এতো কথা?” ● “মেয়েটা কে?” ● “আগেতো এমন ছিলা না…” ● “তুমি গেসো কি না বলো? হ্যাঁ… বা… না!” ● ” আমি যা বোঝার বুঝে গেসি…” ● “আর কিছু কি বলা বাকি আছে?” ৭. ‘সময় দিতে না পারার’ -ঝগড়া: ব্যস্ততার কারণে রিলেশনে প্রয়োজনীয় সঙ্গ বা সময় না দিতে পারা থেকে এমন ঝগড়ার সূত্রপাত। কমন ডায়লগ: ● “কাজ আমার থাকে না? ব্যস্ত কি শুধু তুমি একাই থাকো?” ● “তুমি আমাকে ব্যস্ততার কথা শুনাচ্ছো?” ● “ফোন না হোক – একটা মিসকল বা ম্যাসেজতো তো অ্যাটলিস্ট দিতে পারতা…” ৮. সিলি ঝগড়া: নিজেদের খুবই ক্ষুদ্রাতি-ক্ষুদ্র বিষয় ধরাধরি নিয়ে এমন ঝগড়া হয়। ঝগড়ার টপিক যে কোন বিষয় হতে পারে, তবে খুব সহজেই এড়ানো যেতো এমনটাই সিলি হবে। যেমন: ● অমুক নায়িকা/মডেলকে Hot লাগে। ● ফোন কাটলা কেন? ● এইটা কি স্ট্যাটাস দিসো? ● “অমুক ফ্রেন্ডকে ডাকলা কেন?” …..ইত্যাদি….. ৯. সিরিয়াস ঝগড়া: সিরিয়াস ঝগড়ার রূপ নয়, বিষয়াদি সিরিয়াস। ঝগড়ার মূল আলোচনা এমন বিষয় নিয়ে হয় যেটা রিলেশনের একদম মূলস্তম্ভের সঙ্গে জড়িয়ে আছে (বিশ্বাস, ভালোবাসা, বিয়ে, তৃতীয় কেউ ইত্যাদি)। সিরিয়াস ঝগড়া না মিটলে রিলেশন ভেঙে যাওয়া প্রায় অবধারিত এবং এ ধরণের ঝগড়ায় ভাঙা রিলেশন ফের জোড়া লাগে কম যদি না মনোবল ও টানটা প্রবল হয়। ঝগড়ার মাঝে: ঝগড়ার মাঝখানটা বৃষ্টি আসবে আসবে ভাব আকাশের মতো - ● এ সময়টায় অনেকেই ওয়েটিং গেইম খেলে। অন্যপক্ষ থেকে কিছু না বলা পর্যন্ত নিজেও কিছু বলে না। ● কেউ কেউ “তোমাকে ছাড়াও আমার দিব্যি চলে যাচ্ছে…” – ধরনের মানসিকতা দেখান। ● নিজের দোষ নেই জেনেও রাগে ও অভিমানে “আচ্ছা যাও সব দোষ আমার…” এমনটাও বলতে দেখা যায় কাউকে কাউকে। ● ঝগড়ায় গোঁ ধরে বসে থাকলেও অনেকেই কোন-না-কোন ভাবে চুপি চুপি প্রিয়জন কেমন আছে, কি করছেন এমনটা জেনে নিতে নিতে ভুলেন না। ● যুক্তিনির্ভর কাপলদের ঝগড়ার এ পর্যায়টা খুব দীর্ঘ হয়। অনেকই আবার অধৈর্য্য হয়ে যান, রাগটা আর ধরে রাখতে পারেন না। কারো কারো ঝগড়ায় মেটানোর মানসিকতা থাকলেও শুধু যুক্তিতে হেরে যাওয়ার ভয়ে আগ বাড়িয়ে ফোনটা আর দেন না। উল্টো কলটার অপেক্ষায় থাকেন। ঝগড়ার শেষ: ঝগড়ার শেষটা খুব অদ্ভূত - ● পুরোটা ঝগড়ার সময় দু’জনের কেউই হয়তো নিজেদের কোন দোষ আছে বলে মানতে রাজি ছিলো না। অথচ ঝগড়া শেষ হবার পর এখন আর যেন নিজের দোষ খুঁজে পেতে সমস্যা হয় না। ● ঝগড়া শেষে অনেক কাপলই রিলেশনের নতুন অর্থ খুঁজে পান। একসাথে থেকে তারা কতোটা সুখী তার শোকর আদায় করেন। ● ঝগড়ার পর বেশ ক’দিন পর্যন্ত দু’জনের আচার-ব্যবহারেই একটা বেশ ‘পজিটিভ অ্যাফেক্ট’ থাকে (সারাক্ষণই ঝগড়ার উপরে থাকে এই টাইপ বাদে)। অনেক বেশি সহনশীল, হেসে হেসে বলা, “কোন ব্যাপারই না…” টাইপের আচরণ দেখা যায়। কিন্তু সমস্যা কিন্তু আবার ঠিকই হয়। ● সব ঝগড়ার শেষটা মধুর হয় না। রিলেশন শেষ হয়ে যায় বা হওয়ার অপেক্ষা থাকে। কমন ডায়লগ: ● “ভুল আমারো ছিলো…” ● “আমরা দু’জনেই বাচ্চাদের মতো করেছি…” ● “তোমার সমস্যা হলো তুমি বলোনা… এরপর থেকে এমন কোন সমস্যা হলে আগে আমাকে বলবা…” উল্লেখ্য: ঝগড়া মেটাতে ফ্রেন্ডদের কার্যকারিতা বেশি, এক্ষেত্রে সচরাচর কাজিনদের পারফরমেন্স খুবই খারাপ।
মাধ্যম: ঝগড়ার মাধ্যমগুলো চিহ্নিত করতে গেলেও মোট ৩টি ‘ফ’ -পাওয়া যাবে: ১. ফোন ২. ফেইসবুক ৩. ফেইস-টু-ফেইস (সামনাসামনি) ঝগড়ার শুরুটা: ঝগড়ার শুরুটা সাধারণতঃ কোন একটা কটুক্তি/খোঁচা মারা কথা বা অভিমান বা জেরাযুক্ত প্রশ্ন থেকে। আবার দীর্ঘ নীরবতা বা দীর্ঘশ্বাস থেকেও জন্ম নিতে পারে ঝগড়া। কাপলের মানসিকতা, রাগের পরিমাণ ও মূল বিষয়ের গুরুত্বভেদে ঝগড়াটা শুরু হতে পারে একবারে বা দফায় দফায়। কিছু লক্ষ্যনীয় বিষয়: ● কয়েক দফা ফোনালাপে ঝগড়ার শুরু হতে পারে। দু’জনেই নিজেদের পয়েন্টগুলো মুখের ওপর বলে দিতে চায়। দফায় দফায় লাইনও কাটা হয়। ● ঝগড়া শুরুর পরপরই অনেকে নিজের বা বয়ফ্রেন্ড বা গার্লফ্রেন্ডের ফ্রেন্ড (বিশেষতঃ মিউচুয়াল ফ্রেন্ডদের) বা কাজিন-টাজিনদের ঝগড়ার কথা জানায়। অনেকে আবার না জানালেও মন-টন খারাপ করে তাদের ফোন দেয়। ● অনেককে দেখা যায় নিজেদের কথা সরাসরি অপরজনকে না বলে ভায়া (বন্ধু/কাজিন প্রভৃতি) বলানোর। এতে করে সরাসরি তোপ থেকে মুক্তি মিললেও প্রায়ই কমিউনিকেশন গ্যাপের কারণে আরো বড় ঝগড়ার সৃষ্টি হয়। ● অনেক ঝগড়াই একদম এই প্রথম স্টেজেই মিলে যায়। এটার বেশ ক’টি কারণ আছে: ‘পরস্পরের প্রতি টান’ বা ‘এই ঝগড়ার চাইতেও বড় কোন সমস্যা জীবনে আসা…’ ইত্যাদি। তবে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই কারণটা ক্লান্তি, বিরক্তি, ‘কি দরকার, ভালোই তো ছিলাম…’ বা স্যাক্রিফাইজিং মনোভাব। প্রকারভেদ: ১. ““তুমি এটা বললা কেন?” -ঝগড়া: রিলেশনের ঝগড়ার মোস্ট টিপিক্যাল ফর্ম এই ধরণের ঝগড়া। গার্লফ্রেন্ড বা বয়ফ্রেন্ডের বলা কোন কথা গায়ে বিপরীতজনের গায়ে লাগা থেকে এমন ঝগড়ার সূত্রপাত। তবে এ ধরণের ঝগড়া বেশিদিন টিকে না। সূত্রপাত: ফেইস-টু-ফেইস, ফোন, ফেইসবুক কমন ডায়লগ: ● “তাই বলে এভাবে বলবা?” ● “এটা দিয়ে কি mean করলা?” ● “ও… তোমাকে বললে তোমার মনে হয়… কিন্তু আমার কিছু মনে হতে পারবে না??” ● “আজব!!!” ২. “তুমি আর তোমার স্টুপিড ফ্রেন্ডরা…” – ঝগড়া: ফ্রেন্ডদের বলা কোন কথা বা কোন বেকুবী এ ধরণের ঝগড়ার জন্ম দেয়। তবে বাস্তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ঝগড়ার উৎস বয়ফ্রেন্ডের বন্ধুরা। বন্ধুদের বেশি সময় দেয়া নিয়েও হতে পারে ঝগড়া। কমন ডায়লগ: ● “থাকো তুমি তোমার ফ্রেন্ডদের নিয়ে!” ৩. ফেইসবুকে ঝগড়া: ওরে বাপরে! ভয়ংকর ধরণের ঝগড়া এটা। মানুষ যে ফেইসবুককে ২য় জীবন বানিয়ে ফেলেছে তারই প্রভাব এটা। এ ধরণের ঝগড়া অনেক কারণে লাগতে পারে: ● অপরিচিত/বাস্তবে পরিচিত কিন্তু অপছন্দ ব্যক্তির ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট (এবং/অথবা Accept করা) ● ছবি বা স্ট্যাটাসে উল্টোপাল্টা কমেন্ট ● লাগাতার কমেন্ট ও লাইক আদান-প্রদান ● চ্যাটে দেরি করে জবাব দেয়া ● ফেইসবুকে এক্সের পুনরাবর্তন (“আমাদের মধ্যে কিছু নাই, জাস্ট ফ্রেন্ড” – দাবি করে) কমন ডায়লগ: ● “আমি বলছি তাই ব্লক করবা…. আর কোন কারণ তো দরকার নাই?” ● “তোমার ফ্রেন্ডদের নিয়েতো আমার কোন সমস্যা নাই…!!” ● “ফেইসবুকে কে আমার ফ্রেন্ড হবে না হবে সেটা কি তুমি ঠিক করবা?” কমন প্রতিক্রিয়া: ● ফেইসবুক প্রোফাইল ডিঅ্যাক্টিভেট/ডিলেট। ● বিবাদমান ফ্রেন্ড/বয়ফ্রেন্ড/গার্লফ্রেন্ডকে ফ্রেন্ডলিস্ট থেকে রিম্যুভ। ● “আগামী কয়েক মাস ফেইসবুকে আসা হবে না….” টাইপের স্ট্যাটাস দিয়ে ৯ দিনের মাথায় কামব্যাক! ৪. “ওই মেয়ের সাথে তোমার এতো কি?” -ঝগড়া: বুঝতেই পারছেন এই ঝগড়ায় মূল ভূমিকা গার্লফ্রেন্ডের। বয়ফ্রেন্ডের অন্য কোন মেয়ের সাথ অন্তরঙ্গতা/হেসে হেসে কথা বলা/সঙ্গ দান থেকে এ ধরণের ঝগড়ার সূত্রপাত। অনেক সময় ছেলের উদ্দেশ্য সৎ থাকলেও ঝগড়া বেঁধেই যায়। কমন ডায়লগ: ● “আমি বললে তো কখনো করো না…” ● “OK যাও! ঐ মেয়ের কাছে যাও… আমাকে তো আর তোমার দরকার নাই…” (কৃত্তিম অভিমানের সুরে) ● “আমাকে তো আর এখন তোমার ভালো লাগে না…. আমিতো পুরান হয়ে গেছি…” (ডায়লগটি অত্যন্ত ক্ষ্যত এবং বললেও সাধারণত কৃত্তিম অভিমানের সুরেই বলা হয়ে থাকে) ৫. ইগনোরেন্স/অবহেলা ঝগড়া: গার্লফ্রেন্ড বা বয়ফ্রেন্ডের প্রতি কোন অবহেলা বা Ignorance থেকে এ ঝগড়ার শুরুটা। স্বভাবগতভাবেই অ্যাটেনশন সিকিং হলেও মানুষ রিলেশনে এসে আরো বেশি মাত্রায় অ্যাটেনশন চায়। আর তার মধ্যে যদি কোন পক্ষের গাফিলতি হয়, তাহলে তো কোন কথাই নেই… মূহুর্তেই বেঁধে যায় তুমুল ঝগড়া। রিলেশনে ছেলেদের মধ্যে কেয়ারলেস ভাবটা বেশি দেখা যায়। আর তাই অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এ ধরণের ঝগড়ার রাগটা জমতে দেখা যায় গার্লফ্রেন্ডের মনে। কমন ডায়লগ: ● “একবারো খোঁজ নিসো…বলো?” ● “আধাঘন্টা ধরে আমি দাঁড়ানো…” ● “এমনিতেই দেখা হয় সপ্তাহে একবার…. তারপর ডেটে এসেও মোবাইলটা টেপাই লাগবে?” ● “৪টা পর্যন্ত জেগে ছিলাম… তারপর আর পারি নাই।” ৬. সন্দেহভাজন ঝগড়া: অন্য কারো সাথে বয়ফ্রেন্ড বা গার্লফ্রেন্ড্রের রিলেশন চলছে – এমন সন্দেহের থেকে বা নিশ্চিত হয়েই এ ধরণের ঝগড়া শুরু হয়। এ ধরণের ঝগড়াই সবচেয়ে বেশি ব্রেকআপে রূপ নিতে দেখা যায়। মজার ব্যাপার মেয়েরা যেভাবে ছেলেদের সরাসরি জিজ্ঞেস করে ফেলে তাদের সন্দেহের ব্যাপার। কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ছেলেরা সেটা করে না। উল্টো তাঁরা খোঁচায়। খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে তথ্য বের করে করে মূল পয়েন্টে নিয়ে আসে। কমন ডায়লগ: ● “১ ঘন্টা ধরে ওয়েটিংয়ে, কার সাথে এতো কথা?” ● “মেয়েটা কে?” ● “আগেতো এমন ছিলা না…” ● “তুমি গেসো কি না বলো? হ্যাঁ… বা… না!” ● ” আমি যা বোঝার বুঝে গেসি…” ● “আর কিছু কি বলা বাকি আছে?” ৭. ‘সময় দিতে না পারার’ -ঝগড়া: ব্যস্ততার কারণে রিলেশনে প্রয়োজনীয় সঙ্গ বা সময় না দিতে পারা থেকে এমন ঝগড়ার সূত্রপাত। কমন ডায়লগ: ● “কাজ আমার থাকে না? ব্যস্ত কি শুধু তুমি একাই থাকো?” ● “তুমি আমাকে ব্যস্ততার কথা শুনাচ্ছো?” ● “ফোন না হোক – একটা মিসকল বা ম্যাসেজতো তো অ্যাটলিস্ট দিতে পারতা…” ৮. সিলি ঝগড়া: নিজেদের খুবই ক্ষুদ্রাতি-ক্ষুদ্র বিষয় ধরাধরি নিয়ে এমন ঝগড়া হয়। ঝগড়ার টপিক যে কোন বিষয় হতে পারে, তবে খুব সহজেই এড়ানো যেতো এমনটাই সিলি হবে। যেমন: ● অমুক নায়িকা/মডেলকে Hot লাগে। ● ফোন কাটলা কেন? ● এইটা কি স্ট্যাটাস দিসো? ● “অমুক ফ্রেন্ডকে ডাকলা কেন?” …..ইত্যাদি….. ৯. সিরিয়াস ঝগড়া: সিরিয়াস ঝগড়ার রূপ নয়, বিষয়াদি সিরিয়াস। ঝগড়ার মূল আলোচনা এমন বিষয় নিয়ে হয় যেটা রিলেশনের একদম মূলস্তম্ভের সঙ্গে জড়িয়ে আছে (বিশ্বাস, ভালোবাসা, বিয়ে, তৃতীয় কেউ ইত্যাদি)। সিরিয়াস ঝগড়া না মিটলে রিলেশন ভেঙে যাওয়া প্রায় অবধারিত এবং এ ধরণের ঝগড়ায় ভাঙা রিলেশন ফের জোড়া লাগে কম যদি না মনোবল ও টানটা প্রবল হয়। ঝগড়ার মাঝে: ঝগড়ার মাঝখানটা বৃষ্টি আসবে আসবে ভাব আকাশের মতো - ● এ সময়টায় অনেকেই ওয়েটিং গেইম খেলে। অন্যপক্ষ থেকে কিছু না বলা পর্যন্ত নিজেও কিছু বলে না। ● কেউ কেউ “তোমাকে ছাড়াও আমার দিব্যি চলে যাচ্ছে…” – ধরনের মানসিকতা দেখান। ● নিজের দোষ নেই জেনেও রাগে ও অভিমানে “আচ্ছা যাও সব দোষ আমার…” এমনটাও বলতে দেখা যায় কাউকে কাউকে। ● ঝগড়ায় গোঁ ধরে বসে থাকলেও অনেকেই কোন-না-কোন ভাবে চুপি চুপি প্রিয়জন কেমন আছে, কি করছেন এমনটা জেনে নিতে নিতে ভুলেন না। ● যুক্তিনির্ভর কাপলদের ঝগড়ার এ পর্যায়টা খুব দীর্ঘ হয়। অনেকই আবার অধৈর্য্য হয়ে যান, রাগটা আর ধরে রাখতে পারেন না। কারো কারো ঝগড়ায় মেটানোর মানসিকতা থাকলেও শুধু যুক্তিতে হেরে যাওয়ার ভয়ে আগ বাড়িয়ে ফোনটা আর দেন না। উল্টো কলটার অপেক্ষায় থাকেন। ঝগড়ার শেষ: ঝগড়ার শেষটা খুব অদ্ভূত - ● পুরোটা ঝগড়ার সময় দু’জনের কেউই হয়তো নিজেদের কোন দোষ আছে বলে মানতে রাজি ছিলো না। অথচ ঝগড়া শেষ হবার পর এখন আর যেন নিজের দোষ খুঁজে পেতে সমস্যা হয় না। ● ঝগড়া শেষে অনেক কাপলই রিলেশনের নতুন অর্থ খুঁজে পান। একসাথে থেকে তারা কতোটা সুখী তার শোকর আদায় করেন। ● ঝগড়ার পর বেশ ক’দিন পর্যন্ত দু’জনের আচার-ব্যবহারেই একটা বেশ ‘পজিটিভ অ্যাফেক্ট’ থাকে (সারাক্ষণই ঝগড়ার উপরে থাকে এই টাইপ বাদে)। অনেক বেশি সহনশীল, হেসে হেসে বলা, “কোন ব্যাপারই না…” টাইপের আচরণ দেখা যায়। কিন্তু সমস্যা কিন্তু আবার ঠিকই হয়। ● সব ঝগড়ার শেষটা মধুর হয় না। রিলেশন শেষ হয়ে যায় বা হওয়ার অপেক্ষা থাকে। কমন ডায়লগ: ● “ভুল আমারো ছিলো…” ● “আমরা দু’জনেই বাচ্চাদের মতো করেছি…” ● “তোমার সমস্যা হলো তুমি বলোনা… এরপর থেকে এমন কোন সমস্যা হলে আগে আমাকে বলবা…” উল্লেখ্য: ঝগড়া মেটাতে ফ্রেন্ডদের কার্যকারিতা বেশি, এক্ষেত্রে সচরাচর কাজিনদের পারফরমেন্স খুবই খারাপ।
প্রেমিক নির্বাচনে কিছু কৌশল
জীবনসঙ্গী হিসেবে কাউকে নির্বাচন করতে তার সম্পর্কে একটা পরিষ্কার ধারণা রাখা উচিত। যার সাথে ঘর বাধাঁর স্বপ্নে পথ চলছেন সে আসলে কতটুকু বুঝতে পারে আপনাকে, এটা জানা জন্যে মঙ্গলজনক।খাঁটি প্রেমিক চিনে নিতে টাইমস অব ইন্ডিয়া চারটি লক্ষণের কথা জানিয়েছে। কারো প্রেমে পড়ার আগে লক্ষণগুলো মিলিয়ে নিতে পারেন। বিবেকবর্জিত মানসিকতা: ধরুন, আপনাকে কথা দিয়ে আপনার প্রেমিক তা রাখতে পারেননি। কিন্তু এর জন্য তার মধ্যে কোনো অনুশোচনা নেই। আপনি কষ্ট পেয়েছেন কী না, তা নিয়ে তাঁর মাথাব্যথাও নেই; তিনি তার মতোই আছেন।তাহলে বুঝবেন আপনার ব্যাপারে তিনি খুব একটা মনোযোগী নন।
কারণে-অকারণে মিথ্যে বলা: আপনার প্রেমিক বা হবু প্রেমিক কারণে-অকারণে অবলীলায় মিথ্যা বলে যাচ্ছেন, তখনই ধরে নেবেন এই ছেলের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে ভেবে-চিন্তে দেখার বিষয় আছে। মনে রাখবেন, নিয়মিত মিথ্যা বলা একটি সর্ম্পকের জন্য কখনোই শুভকর নয়।
সহমর্মিতার অভাব: আপনার সুখে-দুঃখে যদি প্রতিনিয়তই সমানভাবে আপনার প্রেমিক একাত্ম হতে না পারেন এবং সব সময় নিজেকে নিয়েই ব্যস্ত থাকেন, তাহলে বুঝবেন আপনি একজন আত্মকেন্দ্রিক মানুষের সঙ্গে প্রেম করছেন। বিষয়টি বোঝা মাত্রই আপনাকে সতর্ক হতে হবে।
নির্মম রসিকতায় আসক্তি: সতর্কভাবে খেয়াল করুন, অন্য সবার বিরক্তির উদ্রেক করে কিংবা অন্যকে আহত করে, এমন কোনো নির্মম রসিকতা আপনার প্রেমিক করছেন কিনা। যদি দেখেন, স্রেফ মজা করে আপনার প্রেমিক কোনো নিরীহ কাউকে পিটিয়ে কিংবা অবলা জীবজন্তুকে হত্যা বা মারধর করে পৈশাচিক আনন্দ উপভোগ করছেন, তাহলে নিশ্চিত জানবেন আপনার প্রেমিক একজন বিকারগ্রস্ত মানুষ।
কারণে-অকারণে মিথ্যে বলা: আপনার প্রেমিক বা হবু প্রেমিক কারণে-অকারণে অবলীলায় মিথ্যা বলে যাচ্ছেন, তখনই ধরে নেবেন এই ছেলের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে ভেবে-চিন্তে দেখার বিষয় আছে। মনে রাখবেন, নিয়মিত মিথ্যা বলা একটি সর্ম্পকের জন্য কখনোই শুভকর নয়।
সহমর্মিতার অভাব: আপনার সুখে-দুঃখে যদি প্রতিনিয়তই সমানভাবে আপনার প্রেমিক একাত্ম হতে না পারেন এবং সব সময় নিজেকে নিয়েই ব্যস্ত থাকেন, তাহলে বুঝবেন আপনি একজন আত্মকেন্দ্রিক মানুষের সঙ্গে প্রেম করছেন। বিষয়টি বোঝা মাত্রই আপনাকে সতর্ক হতে হবে।
নির্মম রসিকতায় আসক্তি: সতর্কভাবে খেয়াল করুন, অন্য সবার বিরক্তির উদ্রেক করে কিংবা অন্যকে আহত করে, এমন কোনো নির্মম রসিকতা আপনার প্রেমিক করছেন কিনা। যদি দেখেন, স্রেফ মজা করে আপনার প্রেমিক কোনো নিরীহ কাউকে পিটিয়ে কিংবা অবলা জীবজন্তুকে হত্যা বা মারধর করে পৈশাচিক আনন্দ উপভোগ করছেন, তাহলে নিশ্চিত জানবেন আপনার প্রেমিক একজন বিকারগ্রস্ত মানুষ।
পারিবারিক ও বৈবাহিক জীবনে দাম্পত্য সমস্যার কারণ ও ধরণ
বিবাহ হলো একটা জটিল বাস্তবতা।তাই দাম্পত্য জীবন একেবারে সম্পূর্ন সমস্যা ও সংকটমুক্ত নয়।দাম্পত্য জীবনের চলমান বাস্তবতা চোরের মত যে কোন সময় ইচ্ছা অনিচ্ছা সত্ত্বেও যে কোন সমস্যা প্রবেশ করতে পারে।সমাজবিজ্ঞানীদের মতে দাম্পত্য সমস্যা একটা স্বাভাবিক ব্যাপার।বিভিন্ন পরিস্থিতিতে বিভিন্ন রুপে এর আবির্ভাব ঘটে।দাম্পত্য সমস্যা মূলত সৃষ্টি হয় দুজনের প্রয়োজনের চাহিদা থেকে।অর্থাৎ একজনের ও প্রয়োজনের চাহিদার সাথে অন্যজনের প্রয়োজনের চাহিদার মধ্যে সংঘর্ষ। দাম্পত্য সমস্যার কারণ ও ধরণ: কারণ গুলো হলো বাহক অর্থাৎ যার জন্য সমস্যাগুলো দাম্পত্য জীবনে আসে,আর ধরণ গুলো এর হাবভাব অর্থাৎ এর রকম ও গুরুত্ব হিসেবে এর প্রভাব। ক) সমস্যার কারণঃ এটাকে আমরা সমস্যার agent বলতে পারি।অর্থাৎ যার বা যাদের দ্বারা এই সমস্যার সৃষ্টি বা কারণ। দাম্পত্য সমস্যার পিছনে ৩ রকমের agent রয়েছে। তাহলো- ১) ব্যক্তি নিজে ২।বিবাহের মূল উপাদানে এবং ৩। বাইরের বা পারিপার্শ্বিক কারণ।
১) ব্যক্তি নিজে কারণঃ বিবাহ একজন পুরুষ এবং একজন নারীর দাম্পত্য বন্ধন। স্বামী স্ত্রী উভয়ে এক হলেও তারা নিজস্ব বৈশিষ্ঠে ও স্বতন্ত্র জীবনবোধ নিয়ে সমৃদ্ধ।এখানে ব্যক্তি হিসেবে স্বামী স্ত্রী নিজেরাই দাম্পত্য সমস্যার কারণ হতে পারে। যেমন-স্বামী স্ত্রীর শারীরিক কারণঃ
শারীরিক দীর্ঘকালীন রোগ ব্যাধি,অসুস্থ্যতা, শারীরিক দূর্বলতা, শারীরিক অক্ষমতা, ছোঁয়াছে রোগ, মানসিক বিকারগ্রস্থতা, ট্রমাটীক, সাইকিক, নিয়োরটিক, সিজোফ্রেনিক ,এলকোহলিক, মানসিক ভারসাম্যহীনতা ইত্যাদি। ব্যক্তিত্বঃ অন্তর্মূখী
যেমনঃ ঘরকোনা, চাপা স্বভাব, হীনমন্য, সন্দেহবাটিক, সংকীর্ণচেতা, নিঃসঙ্গ ও নিয়ন্ত্রণহীন আবেগ। আবার অন্যদিকে বহির্মূখী যেমন- অতিরিক্ত হৈহুল্লুর স্বভাব, সময় জ্ঞানের অভাব, বাইরে বাইরে সময় কাটানো, বন্ধু সার্কেল নিয়ে আড্ডা মারা, দায়িত্বজ্ঞান হীনতা ইত্যাদি। দুর্বল ব্যক্তিত্বঃ পরনির্ভরশীলতা সিদ্ধান্তহীনতা, দায়িত্ব নেওয়ার অক্ষমতা, অন্যের কথায় কান দেওয়া, গোপনীয়তা রক্ষা না করার দুর্বলতা, মেরুদন্ডহীন হীনমণ্য, আস্থার অভাব, খুঁতখঁতে স্বভাব, নিজস্বতা রক্ষা করার দুর্বল মানসিকতা, সন্দেহপ্রবণ ইত্যাদি। ব্যক্তিত্বের দ্বন্দ্বঃ আত্ন-অহমিকা, ব্যক্তিমর্যাদা ক্ষুন্ন করা, দমনীয় ভাব, নমনীয়তার অভাব, কতৃত্বপরায়ণতা, অতিরিক্ত মেজাজ ও আবেগ প্রবণতা, গ্রহণশীলতার অভাব, প্রবল আত্ন-মর্যাদা বোধ, স্বার্থপরতা, পেশী শক্তি প্রয়োগ প্রবণতা, অস্বচ্ছলতা, গোয়াতুর্মি ভাব, অনাস্থা আপোষহীন মানসিকতা, জেদ, জবাবদিহিতার ভাব, দোষ খোঁজার মানসিকতা ইত্যাদি। ২।বিবাহের মূল উপাদানঃ দুজন নর-নারীর পারস্পারিক সন্মতির বিনিময়ই বিবাহ।সন্মতির মধ্যে যে প্রতিশ্রুতি রয়েছে সেটাই বিবাহের মূল উপাদান।আর দাম্পত্য জীবনে বিবাহ প্রতিশ্রুতি এই উপাদানের অনুপস্থিতি এবং এর অভাবই দাম্পত্য সমস্যার কারণ। যেমন- ভালবাসার অভাব, বিশ্বাস ও বিশ্বস্ততার অভাব, যৌনাচার,বহুগামিতা, দৈহিক যৌন সম্পর্কে অক্ষমতা, পুরুষত্বহীনতা, সমকামিতা, যৌনবিকৃতি, পাশবিকতা, যৌন মিলনের অনিহা এবং এড়িয়ে চলা, সন্তান দানে অক্ষমতা, দায়িত্বজ্ঞানহীন ভবঘুরে, ভুল সঙ্গী নির্বাচন। ৩।পারিপার্শ্বিক কারণঃ এখানে বাইরের কোন শক্তি বা তৃতীয় কোন শক্তি বা পক্ষ পারিপার্শ্বিক কোন এজেন্ট দাম্পত্য সমস্যার কারণ হয়ে আসে।এর মধ্যে পিতা, মাতা, ভাই বোন, শশুর শাশুড়ি, দেবর ননদ, ননাশ, কোন মিথ্যা গুজব, অন্যের পক্ষপাতিত্য মনোভাব, অন্যের অতিরিক্ত আবেগ সোহাগ, ঈর্ষা প্রতিহিংসা, মদ-নেশা। অর্থনৈতিক অস্বচ্ছলতা, বেকারত্ব চাকুরী পেশা, অসৎ ব্যবসা, মোবাইল, ফেসবুক, বন্ধুত্বের সম্পর্ক, অসততা, অতীত টেনে আনা রকমারি, বশ করা চাকুরীর তাগিদে দূরে অবস্থান। খ) সমস্যার ধরণঃ এই দাম্পত্য সমস্যার যে কারণগুলো রয়েছে এইগুলোর আবার গুরুত্বের মাপকাঠিতে তিন রকম এর পর্যায় বা ধরণ রয়েছে। এই গুলো হলো –
ক।মৌলিক সমস্যা, ২।অ-মৌলিক সমস্যা ও ৩।অযৌক্তিক বা বিরক্তিকর সমস্যা। ১।মৌলিক সমস্যাঃ বিবাহের যে মূল ভিত্তি এবং দাম্পত্য সম্পর্কে (Basic Problem) যে মূলশক্তি এবং নীতি তার মধ্যে যে দুর্বলতা এবং অভাবই হলো এই মৌলিক সমস্যা।আর যখন এই মূলভিত্তি এবং শক্তি দুর্বলতা প্রকটভাবে দাম্পত্য সম্পর্কে সক্রিয় হয়ে ওঠে তখন দাম্পত্য জীবনটাকে ভয়ানক অনিশ্চয়তার দিকে ঠেলে দিতে পারে।তখন সেটা দাম্পত্য জীবন টিকিয়ে রাখার জন্য বড় হুমকিস্বরুপ হয়ে দাঁড়ায়।বিবাহের মূল হলো পারস্পারিক ভালোবাসা, বিশ্বস্ততা, একতা ও সম্পূর্ণ আত্ন-দান।পরস্পরের অধিকার প্রতিষ্ঠা এবং মর্যাদাদানে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকা পারস্পারিক দাম্পতিক দায়িত্বশীলতায় স্বচ্ছলতা এবং সর্বোচ্চ নিশ্চয়তা দান। এক্ষেত্রে স্বামী স্ত্রীর পারস্পারিক ভালোবাসার অভাব,অবিশ্বস্ততা, পর-পুরুষ পর নারীতে আসক্তি,সম্পর্কে বহুগামিতা,ব্যভিচার,শারিরিক দুর্বলতা অক্ষমতা,শারীরিক যৌন সম্পর্ক গড়তে ব্যর্থতা এবং অনীহা, যৌন বিকৃতি এবং সমকামিতা, একেবারেই ভুল সঙ্গী নির্বাচন, মানসিক বিকার গ্রস্থতা, ব্যক্তিত্বে দুর্বলতা, পরনির্ভরশীলতা, সন্দেহবাতিকতা এবং দায়িত্ব কর্তব্যে উদাসীনতা এবং অবহেলা, প্রতারণা, অসততা, নেশাসক্তি। ২।অ-মৌলিক সমস্যাঃ এটা মূলে কোন সমস্যা নয় যা দাম্পত্য সম্পর্ক নষ্ট করে দেওয়া বা শেষ করে দিতে পারে তবে এটা প্রতিদিনের সম্পর্কের মধ্যে অশান্তি অস্থিরতা এবং উত্তেজনাকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করে যায়। যেমন-মদ-নেশা, শারীরিক মানসিক নির্যাতন, সবকিছুতে সামান্য কিছুতে উত্তেজনা-রাগারাগি, অধৈর্য ও তর্কাতর্কি, দুর্বল ব্যক্তিত্ব, গুজবে বিশ্বাস করা, সময় সমর্থন না দেওয়া, টাকা পয়সা বেতনভাতার অস্বচ্ছতা, পেশাগত গোপনীয়তা, মিথহ্যাচার, তৃতীয় পক্ষের হস্তক্ষেপ ও বাড়াবাড়ি, অভাব-অর্থ সংকট ও বেকারত্ব, যৌন সম্পর্কে স্বার্থপরতা এবং অবিবেক হওয়া,স্বামী বিদেশে থেকে স্ত্রী সন্তান্দের জন্য টাকা না পাঠানো, স্বামী স্ত্রীর কাজ ও মর্যাদার লড়াই, ব্যক্তিত্বের সংঘাত দ্বন্দ্ব, অসামাজিক কার্যকলাপ, অর্থনৈতিক জীবন ও ব্যবসা। ৩।বিরক্তিকর সমস্যাঃ এই সমস্যা সচরাচর দাম্পত্য জীবনে সম্পর্কে এবং পরিবারে একটু না একটু লেগেই থাকে বা স্বামী স্ত্রীর উভয়ের অসচেতনতার জন্য বা ইচ্ছাকৃত হয়ে থাকে।এইগুলি হলো বিরক্তিকর সমস্যা যা সয়ে যায়, আবার সময় সময় মাথা গরম করে আবার অবান্তর জ্বালান্তর সৃষ্টি করে। যেমন- ছোট ছোট বিষয়ে খুঁত ধরা, পরস্পরকে appreciate না করা, সময়মত কিছু না করা, সময় না দেওয়া, পক্ষাবলম্বন করা, যার যার বাবা মার পক্ষে কথা বলা, ঠিক সময়ে ঘরে না ফেরা, একে অন্যের সমন্ধে এবং তাদের পরিবার নিয়ে খোঁচা মেরে কথা বলা, সময়মত বাজার না করা, মোবাইলে লুকিয়ে বা এড়িয়ে কথা বলা, দাম্পত্য যৌন সম্পর্কে পরস্পরকে না বোঝা, মিথ্যা কথা বলা, কাজের সঠিক মূল্যায়ন না করা, পরস্পরের কাজের খোঁজ খবর না রাখা, অসুস্থতায় খেয়াল না করা, পরস্পরের যত্নে খেয়ালে ঘাটতি, সংসারের প্রয়োজনে বেখেয়ালীপনা, নেশায় বদ অভ্যাস, জেদ,কথা ও আচরনে রুক্ষতা,পরস্পর কথা বন্ধ করে দেওয়া, রান্না-বান্নার ব্যাপারে বিরুপ মন্তব্য করা, পরস্পর চাহিদা পূরনে খেয়ালীপনা এবং অনীহা,গুজবে কান দিয়ে ভুল বুঝা,অতীত টেনে আনা, স্বামী স্ত্রির কথা অন্যকে বলে দেয়া, কোন ঘটানা লুকানোর চেষ্টা,সন্তান না হওয়ার ব্যাপারে পরস্পরকে দোষারোপ করা, প্রয়োজনে ডাক্তারের কাছে না যাওয়া, বৌ শাশুড়ি ও শুশুরের মধ্যে আন্তরিকভাবে গ্রহন না করার জের, অহেতুক সন্দেহ, কোন কিছু চাওয়া পাওয়ার অধৈর্য হওয়া,অতিরিক্ত পীড়াপীড়ি, অন্যেরটা দেখে তুলনা করা, সংসার স্রোতে নতুনত্বের অভাব, বিনোদনের অভাব, সংসারে অভাব, গায়ে হাত তোলা, পারিবারিক কড়াকড়ি নিয়ম, অতিরিক্ত নিয়ন্ত্রন করা, অবহেলার কারণে এই সব বিরক্তিকর সমস্যাগুলি বড় আকার ধারণ করতে পারে। আবার অন্যদিকে উভয়ের সচেতনতা, প্রয়োজনীয় আন্তরিক পদক্ষেপ এবং পারস্পরিক ক্ষমা,সহনশীলতার মধ্য দিয়ে অনেক মৌলিক গুরুতর সমস্যারও শান্তিপূর্ণ সমাধানের পথ উন্মুক্ত করতে পারে।
১) ব্যক্তি নিজে কারণঃ বিবাহ একজন পুরুষ এবং একজন নারীর দাম্পত্য বন্ধন। স্বামী স্ত্রী উভয়ে এক হলেও তারা নিজস্ব বৈশিষ্ঠে ও স্বতন্ত্র জীবনবোধ নিয়ে সমৃদ্ধ।এখানে ব্যক্তি হিসেবে স্বামী স্ত্রী নিজেরাই দাম্পত্য সমস্যার কারণ হতে পারে। যেমন-স্বামী স্ত্রীর শারীরিক কারণঃ
শারীরিক দীর্ঘকালীন রোগ ব্যাধি,অসুস্থ্যতা, শারীরিক দূর্বলতা, শারীরিক অক্ষমতা, ছোঁয়াছে রোগ, মানসিক বিকারগ্রস্থতা, ট্রমাটীক, সাইকিক, নিয়োরটিক, সিজোফ্রেনিক ,এলকোহলিক, মানসিক ভারসাম্যহীনতা ইত্যাদি। ব্যক্তিত্বঃ অন্তর্মূখী
যেমনঃ ঘরকোনা, চাপা স্বভাব, হীনমন্য, সন্দেহবাটিক, সংকীর্ণচেতা, নিঃসঙ্গ ও নিয়ন্ত্রণহীন আবেগ। আবার অন্যদিকে বহির্মূখী যেমন- অতিরিক্ত হৈহুল্লুর স্বভাব, সময় জ্ঞানের অভাব, বাইরে বাইরে সময় কাটানো, বন্ধু সার্কেল নিয়ে আড্ডা মারা, দায়িত্বজ্ঞান হীনতা ইত্যাদি। দুর্বল ব্যক্তিত্বঃ পরনির্ভরশীলতা সিদ্ধান্তহীনতা, দায়িত্ব নেওয়ার অক্ষমতা, অন্যের কথায় কান দেওয়া, গোপনীয়তা রক্ষা না করার দুর্বলতা, মেরুদন্ডহীন হীনমণ্য, আস্থার অভাব, খুঁতখঁতে স্বভাব, নিজস্বতা রক্ষা করার দুর্বল মানসিকতা, সন্দেহপ্রবণ ইত্যাদি। ব্যক্তিত্বের দ্বন্দ্বঃ আত্ন-অহমিকা, ব্যক্তিমর্যাদা ক্ষুন্ন করা, দমনীয় ভাব, নমনীয়তার অভাব, কতৃত্বপরায়ণতা, অতিরিক্ত মেজাজ ও আবেগ প্রবণতা, গ্রহণশীলতার অভাব, প্রবল আত্ন-মর্যাদা বোধ, স্বার্থপরতা, পেশী শক্তি প্রয়োগ প্রবণতা, অস্বচ্ছলতা, গোয়াতুর্মি ভাব, অনাস্থা আপোষহীন মানসিকতা, জেদ, জবাবদিহিতার ভাব, দোষ খোঁজার মানসিকতা ইত্যাদি। ২।বিবাহের মূল উপাদানঃ দুজন নর-নারীর পারস্পারিক সন্মতির বিনিময়ই বিবাহ।সন্মতির মধ্যে যে প্রতিশ্রুতি রয়েছে সেটাই বিবাহের মূল উপাদান।আর দাম্পত্য জীবনে বিবাহ প্রতিশ্রুতি এই উপাদানের অনুপস্থিতি এবং এর অভাবই দাম্পত্য সমস্যার কারণ। যেমন- ভালবাসার অভাব, বিশ্বাস ও বিশ্বস্ততার অভাব, যৌনাচার,বহুগামিতা, দৈহিক যৌন সম্পর্কে অক্ষমতা, পুরুষত্বহীনতা, সমকামিতা, যৌনবিকৃতি, পাশবিকতা, যৌন মিলনের অনিহা এবং এড়িয়ে চলা, সন্তান দানে অক্ষমতা, দায়িত্বজ্ঞানহীন ভবঘুরে, ভুল সঙ্গী নির্বাচন। ৩।পারিপার্শ্বিক কারণঃ এখানে বাইরের কোন শক্তি বা তৃতীয় কোন শক্তি বা পক্ষ পারিপার্শ্বিক কোন এজেন্ট দাম্পত্য সমস্যার কারণ হয়ে আসে।এর মধ্যে পিতা, মাতা, ভাই বোন, শশুর শাশুড়ি, দেবর ননদ, ননাশ, কোন মিথ্যা গুজব, অন্যের পক্ষপাতিত্য মনোভাব, অন্যের অতিরিক্ত আবেগ সোহাগ, ঈর্ষা প্রতিহিংসা, মদ-নেশা। অর্থনৈতিক অস্বচ্ছলতা, বেকারত্ব চাকুরী পেশা, অসৎ ব্যবসা, মোবাইল, ফেসবুক, বন্ধুত্বের সম্পর্ক, অসততা, অতীত টেনে আনা রকমারি, বশ করা চাকুরীর তাগিদে দূরে অবস্থান। খ) সমস্যার ধরণঃ এই দাম্পত্য সমস্যার যে কারণগুলো রয়েছে এইগুলোর আবার গুরুত্বের মাপকাঠিতে তিন রকম এর পর্যায় বা ধরণ রয়েছে। এই গুলো হলো –
ক।মৌলিক সমস্যা, ২।অ-মৌলিক সমস্যা ও ৩।অযৌক্তিক বা বিরক্তিকর সমস্যা। ১।মৌলিক সমস্যাঃ বিবাহের যে মূল ভিত্তি এবং দাম্পত্য সম্পর্কে (Basic Problem) যে মূলশক্তি এবং নীতি তার মধ্যে যে দুর্বলতা এবং অভাবই হলো এই মৌলিক সমস্যা।আর যখন এই মূলভিত্তি এবং শক্তি দুর্বলতা প্রকটভাবে দাম্পত্য সম্পর্কে সক্রিয় হয়ে ওঠে তখন দাম্পত্য জীবনটাকে ভয়ানক অনিশ্চয়তার দিকে ঠেলে দিতে পারে।তখন সেটা দাম্পত্য জীবন টিকিয়ে রাখার জন্য বড় হুমকিস্বরুপ হয়ে দাঁড়ায়।বিবাহের মূল হলো পারস্পারিক ভালোবাসা, বিশ্বস্ততা, একতা ও সম্পূর্ণ আত্ন-দান।পরস্পরের অধিকার প্রতিষ্ঠা এবং মর্যাদাদানে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকা পারস্পারিক দাম্পতিক দায়িত্বশীলতায় স্বচ্ছলতা এবং সর্বোচ্চ নিশ্চয়তা দান। এক্ষেত্রে স্বামী স্ত্রীর পারস্পারিক ভালোবাসার অভাব,অবিশ্বস্ততা, পর-পুরুষ পর নারীতে আসক্তি,সম্পর্কে বহুগামিতা,ব্যভিচার,শারিরিক দুর্বলতা অক্ষমতা,শারীরিক যৌন সম্পর্ক গড়তে ব্যর্থতা এবং অনীহা, যৌন বিকৃতি এবং সমকামিতা, একেবারেই ভুল সঙ্গী নির্বাচন, মানসিক বিকার গ্রস্থতা, ব্যক্তিত্বে দুর্বলতা, পরনির্ভরশীলতা, সন্দেহবাতিকতা এবং দায়িত্ব কর্তব্যে উদাসীনতা এবং অবহেলা, প্রতারণা, অসততা, নেশাসক্তি। ২।অ-মৌলিক সমস্যাঃ এটা মূলে কোন সমস্যা নয় যা দাম্পত্য সম্পর্ক নষ্ট করে দেওয়া বা শেষ করে দিতে পারে তবে এটা প্রতিদিনের সম্পর্কের মধ্যে অশান্তি অস্থিরতা এবং উত্তেজনাকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করে যায়। যেমন-মদ-নেশা, শারীরিক মানসিক নির্যাতন, সবকিছুতে সামান্য কিছুতে উত্তেজনা-রাগারাগি, অধৈর্য ও তর্কাতর্কি, দুর্বল ব্যক্তিত্ব, গুজবে বিশ্বাস করা, সময় সমর্থন না দেওয়া, টাকা পয়সা বেতনভাতার অস্বচ্ছতা, পেশাগত গোপনীয়তা, মিথহ্যাচার, তৃতীয় পক্ষের হস্তক্ষেপ ও বাড়াবাড়ি, অভাব-অর্থ সংকট ও বেকারত্ব, যৌন সম্পর্কে স্বার্থপরতা এবং অবিবেক হওয়া,স্বামী বিদেশে থেকে স্ত্রী সন্তান্দের জন্য টাকা না পাঠানো, স্বামী স্ত্রীর কাজ ও মর্যাদার লড়াই, ব্যক্তিত্বের সংঘাত দ্বন্দ্ব, অসামাজিক কার্যকলাপ, অর্থনৈতিক জীবন ও ব্যবসা। ৩।বিরক্তিকর সমস্যাঃ এই সমস্যা সচরাচর দাম্পত্য জীবনে সম্পর্কে এবং পরিবারে একটু না একটু লেগেই থাকে বা স্বামী স্ত্রীর উভয়ের অসচেতনতার জন্য বা ইচ্ছাকৃত হয়ে থাকে।এইগুলি হলো বিরক্তিকর সমস্যা যা সয়ে যায়, আবার সময় সময় মাথা গরম করে আবার অবান্তর জ্বালান্তর সৃষ্টি করে। যেমন- ছোট ছোট বিষয়ে খুঁত ধরা, পরস্পরকে appreciate না করা, সময়মত কিছু না করা, সময় না দেওয়া, পক্ষাবলম্বন করা, যার যার বাবা মার পক্ষে কথা বলা, ঠিক সময়ে ঘরে না ফেরা, একে অন্যের সমন্ধে এবং তাদের পরিবার নিয়ে খোঁচা মেরে কথা বলা, সময়মত বাজার না করা, মোবাইলে লুকিয়ে বা এড়িয়ে কথা বলা, দাম্পত্য যৌন সম্পর্কে পরস্পরকে না বোঝা, মিথ্যা কথা বলা, কাজের সঠিক মূল্যায়ন না করা, পরস্পরের কাজের খোঁজ খবর না রাখা, অসুস্থতায় খেয়াল না করা, পরস্পরের যত্নে খেয়ালে ঘাটতি, সংসারের প্রয়োজনে বেখেয়ালীপনা, নেশায় বদ অভ্যাস, জেদ,কথা ও আচরনে রুক্ষতা,পরস্পর কথা বন্ধ করে দেওয়া, রান্না-বান্নার ব্যাপারে বিরুপ মন্তব্য করা, পরস্পর চাহিদা পূরনে খেয়ালীপনা এবং অনীহা,গুজবে কান দিয়ে ভুল বুঝা,অতীত টেনে আনা, স্বামী স্ত্রির কথা অন্যকে বলে দেয়া, কোন ঘটানা লুকানোর চেষ্টা,সন্তান না হওয়ার ব্যাপারে পরস্পরকে দোষারোপ করা, প্রয়োজনে ডাক্তারের কাছে না যাওয়া, বৌ শাশুড়ি ও শুশুরের মধ্যে আন্তরিকভাবে গ্রহন না করার জের, অহেতুক সন্দেহ, কোন কিছু চাওয়া পাওয়ার অধৈর্য হওয়া,অতিরিক্ত পীড়াপীড়ি, অন্যেরটা দেখে তুলনা করা, সংসার স্রোতে নতুনত্বের অভাব, বিনোদনের অভাব, সংসারে অভাব, গায়ে হাত তোলা, পারিবারিক কড়াকড়ি নিয়ম, অতিরিক্ত নিয়ন্ত্রন করা, অবহেলার কারণে এই সব বিরক্তিকর সমস্যাগুলি বড় আকার ধারণ করতে পারে। আবার অন্যদিকে উভয়ের সচেতনতা, প্রয়োজনীয় আন্তরিক পদক্ষেপ এবং পারস্পরিক ক্ষমা,সহনশীলতার মধ্য দিয়ে অনেক মৌলিক গুরুতর সমস্যারও শান্তিপূর্ণ সমাধানের পথ উন্মুক্ত করতে পারে।
ছেলেদের ব্রেকআপের বিভিন্ন দিক
১ম পর্যায়, “আমার মন মানে না…”:
এই পর্যায়টা ব্রেক আপের সবচেয়ে ইমোশনাল পর্যায়। একই সাথে গুরুত্বপূর্ণও – কেননা এই সময়ে নেয়া যে কোন সিদ্ধান্ত আলটিমেটলি জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারে।
ব্রেক আপের এ পর্যায়ে কারো ভেতর থেকে যে ইমোশনগুলো বেরিয়ে আসে তা একদমই Raw ইমোশন। অধিকাংশের ক্ষেত্রেই ইমোশনটা বেরোয় বুক ফাটা কান্না বা তীব্র মানসিক বেদনার রূপে। তবে ব্যতিক্রমী কারো কারো ক্ষেত্রে ব্রেকআপ স্বাভাবিকভাবে মেনে নেয়ার প্রবণতা লক্ষ্য করা যায়। তবে যেটাই হোক না কেন, তা স্বাভাবিকের বাইরে, এর সবই আবেগের বশে।
যাদের জন্য ব্রেকআপটা কষ্টের তাদের মন মানেনা… “কেন আমিই এতো দুর্ভাগা” – এই প্রশ্ন বারবার ফিরে আসে মনে।
ব্রেক ঠিক পরপর এই তাৎক্ষণিক পর্যায়টিতে অধিকাংশ মানুষ ৩টি কাজের একটি করে:
ক. নিজের ক্ষতি করে (আত্মহত্যা, ড্রাগস ইত্যাদি)
খ. যে মেয়ের সাথে রিলেশন ছিলো তার ক্ষতির চেষ্টা করে (ফেইসবুক/ইমেইল হ্যাক, নেটে বাজে ছবি ছাড়া, মোবাইল নাম্বার ম্যানিপুলেশন)
গ. যার কারণে এই ব্রেক আপ (অন্য আরেক ছেলে হতে পারে) তার ক্ষতির চেষ্টা করে। এবং আরেকটি টাইপ আছে যারা এই ৩টির একটিও করে না – They just let it go. এরা আবার ৩ প্রকার:
ক. মন খারাপ করে থাকার দল
খ. ’এই বেশ ভালো আছি’ বেশ ধরা দল
গ. ঘন্টায় ঘন্টায় নতুন রিলেশন আর ব্রেকআপের কারণে এদের মনে ব্রেকআপ আর নতুন করে কোন অনুভূতির জন্ম দেয় না – সেই দল (সঙ্গতঃ কারণেই এই পোস্টে তাদের কথা আলোচনা করা হয়নি)
উপর্সগ:
১. শুধু ওকে ফোন দিতে ইচ্ছে করে/দেখা করতে ইচ্ছে করে/মনে হয় এখনই গিয়ে দেখা করি – যদি জানা আছে তাতে সিদ্ধান্ত বদলাবে না।
২. নিজে থেকেই নিজের দোষ/ত্রুটি বের করে ব্রেকআপের পিছনে নিজের দোষগুলো খুঁজে বের করা – যদিও হয়তো আদতে নিজের কোন দোষই নেই।
৩. ওর রেখে যাওয়া স্মৃতি চিহ্নগুলো হাতে নিয়ে নেড়েচেড়ে দেখা… মন আরও খারাপ করা। কেউ কেউ অবশ্য এগুলো নষ্ট করে ফেলে।
কমন ডায়ালগ:
১. “আমার তো কোন দোষ ছিলো না… তাহলে কেন….?
২. “সব মেয়ে এক…” (এটা একটা বিশেষ টাইপের ছেলেরা বলে)
৩. “আমি আর কখনও রিলেশন করতে পারবো না…”
অত্যন্ত ইমোশনাল এ পর্যায়টাকে ঠিক শব্দে প্রকাশ সম্ভব নয়। যতো কম বলে শেষ করা যায় ততোই ভালো। তাই পরের পর্যায়ে চলে যাচ্ছি।
২য় পর্যায়, সান্ত্বনা:
আপনার ফ্রেন্ডকূল এবং পরিচিতরা যারা আপনার রিলেশনের ব্যাপারে জানতো তারা এ পর্যায়ে ঝাঁপিয়ে পড়বে আপনাকে সান্ত্বনা দিতে। বিশ্বাস করুন আর নাই করুন, মনে মনে আপনার বেশির ভাগ বন্ধুই (স্পেশালি যাদের রিলেশন আছে) কিন্তুই খুশি। খুশি এ জন্য যে – “যে এটলিস্ট তারা আপনার মতো এতো দুর্ভাগা না…”। এটা মানুষের আদি ধর্ম। অপরের বিপদের কথা চিন্তা করলে সচেতন বা অবচেতনভাবে আমাদের মন আনন্দ পায়।
“জাস্ট ঐ কষ্টকর পরিস্থিতিতে সে নেই” – এই চিন্তাটাই মনে আনন্দের খোরাক জোগানোর জন্য যথেষ্ট। এটা খারাপ কিছু নয়। এটা মানুষের ধর্ম। ইনফ্যাক্ট এটার কিছু ভালো দিক আছে। যেমন ধরুন, যেদিন আপনার ব্রেকআপের কথা আপনার ফ্রেন্ডরা শুনলো, পরের বার তাদের গার্লফ্রেন্ড/বয়ফ্রেন্ডের সাথে আলোচনায় এ প্রসঙ্গটা একবার হলেও অন্ততঃ উঠবে। তখন তারা একে অপরকে প্রমিস করবে – তারা কখনও এভাবে বিচ্ছেদ ঘটাবে না। রিলেশন যে পর্যায়েই থাকুক না কেন – তারা আবারও নতুন করে অনুধাবন করবে, একে অপরকে পেয়ে তারা কতোটা লাকি। নিজেদের রিলেশনের অবস্থা নিয়ে শঙ্কিত ছিলো, এমন কাপলদের নিজেদের সমস্যা আর কিছু বলে মনেই হবে না। প্রিয় বন্ধুর ব্রেকআপের পর এ সময়টায় গার্লফ্রেন্ড/বয়ফ্রেন্ড হঠাৎ করেই একটু বেশিই সুইট হয়ে যেতে পারে – তবে এটা টেম্পোরারি। এর কোন স্থায়ী প্রভাব নেই।
যাই হোক এ পর্যায়ে ফ্রেন্ডকূল ও পরিচিতদের সান্ত্বনা আর উপদেশ বাণীতে সিক্ত হবেন আপনি -
১. “যা হয়েছে ভালো জন্য হয়েছে…” (হ তোরে কইসে!)
২. “জীবন কারো জন্য থেমে থাকে না…”
৩. “এটা ক্যারিয়ার গড়ার সময়…” (নরমালি এটা বন্ধুরা না, স্বজনেরা বলে)
৪. “নিশ্চয়ই তোমার কপালে জন্য এর চাইতেও ভালো কিছু অপেক্ষা করছে…”
৫. “থাক দোস্ত… বাদ দে…”
৬. “ফ্রেন্ডদের সাথে সময় কাটাও…”
৭. “ব্যাপার না… সব ঠিক হয়ে যাবে…”
৮. “চল বাইরে চল…”
আপনার রিলেশন সম্পর্কে আপনার ফ্রেন্ডদের আগে না বলা কিছু তথ্যও উঠে আসতে পারে এ পর্যায়ে -
১. “এমনিতেও এই রিলেশন নিয়ে তোর পরে সমস্যা হইতো…”
২. “ওর চাইতে হাজার গুণ বেটার মেয়ে তুই পাবি…” (৫ মাস আগেও “তোদের দেখে ঈর্ষা হয় বলার পর”)
৩. “এমনিতেও ওর অনেক সমস্যা ছিলো…”
৪. “আমার কেন জানি আগে থেকেই মনে হচ্ছিলো রিলেশনটা টিকবে না…”
৩য় পর্যায়, নিজেরে বুঝাই:
ব্রেক আপের এই পর্যায়টা একান্তই নিজের। নিজের জীবন, ক্যারিয়ার সব কিছুই নতুন করে শুরু করার একটা প্রত্যয় এই স্টেজে জন্মায়। এ পর্যায়ে একটা ছেলে এমন অনেক কিছুই করবে, যা সে সাধারণ অবস্থায় কখনোই করতো না। এমন অনেক কাজ সে করবে যা এইতো ক’দিন আগেও তার কাছে ছ্যাবলামি মনে হতো। এমন অনেক মানুষ যাদের সাথে দীর্ঘদিন কোন যোগাযোগ ছিলো না/ বা অনেকটা ইচ্ছে করেই এড়িয়ে গিয়েছে তাদের সাথে যোগাযোগ বাড়তে পারে। পুরো ব্যাপারটাই আসে জীবনে সামগ্রিক পরিবর্তনের একটা চিন্তা থেকে।
৪র্থ পর্যায়, বন্ধুদের সাথে সময় কাটানো:
এ পর্যায়ে সুযোগ পেলেই বন্ধুদের সাথে সময় কাটানোর একটা প্রবণতা দেখা যায়। বাসার বিভিন্ন কাজে এবং ফ্যামিলি মেম্বারদের সাথে অন্তরঙ্গতা বাড়ে। পুরো দুনিয়া কেমন একটা ’মায়ার চশমা’ দিয়ে ফিল্টার হয়ে চোখে এসে ধরা দেয়। মানুষের উপকার করতে ইচ্ছে করে। মানুষের সাথে একটু বেশিই নরমভাবে কথা বলার প্রবণতাও দেখা যায়।
উপসর্গ:
১. বন্ধুবান্ধবদের সাথে বের হয়ে তাদের বয়ফ্রেন্ড/গার্লফ্রেন্ডেদের মধ্যে রিলেশনের অন্তরঙ্গতা দেখে খুব প্রচন্ড ঈর্ষা ও অস্বস্তি।
২. কথায় কথায় বন্ধুদের কাছে – “ইশ ও এইটা করতো…”, “আই উইশ ও এইটা দেখতো…” বা “আমি আর ও প্রায়ই এটা করতাম…” – টাইপের কতাবার্তা।
৩. সুযোগ পেলেই মানুষকে নিজের ব্রেকআপের কথা জানানো, সহানুভূতির আশায় নয় – এটার মধ্যে কোথায় যেন ক্রেডিট নেয়ার মতো বিষয় আছে।
৪. “জীবনে অনেক কিছু দেখে ফেলেছি…” টাইপের মানসিকতা।
৫. ফেইসবুকে নিজের জীবনদর্শন তুলে ধরে স্ট্যাটাস দেয়া। কারো কারো স্ট্যাটাস দেখলে মনে হবে আর কিছুক্ষণের মধ্যেই সে আত্মহত্যা করতে যাচ্ছে।
৬. দাড়ি রাখা।
৫ম পর্যায়, আমি যেন কার আশায আশায় থাকি:
এতোদিনে আপনার ব্রেকআপের ঠিক পরপর টাটকা ক্ষত অনেকটাই শুকিয়ে গেছে। তবে পরিচিত যায়গা, পরিচিত মানুষ দেখলে বুক ফাঁকা ফাঁকা লাগে। পরিচিত জায়গা দিয়ে কোথাও যাওয়ার সময় আগের কথা মনে পড়ে। সাথে একটা ভয় কাজ করে যদি দেখা হয়ে যায় – তাহলে কি হবে? আবার মনে মনে ঠিকও করে ফেলেন দেখা হলে কি করবেন। যদিও ভয় পাচ্ছেন দেখা হওয়ার বিষয়টা চিন্তা করে, আবার কাইন্ড অফ যেন চাচ্ছেনও দেখা হোক।
৬ষ্ঠ পর্যায়, নতুন করে আবারও:
ব্রেকআপের স্মৃতি মনে আর অবশিষ্ট নেই তেমন একটা -শুধু খুব অকেশনালি মনে পড়ে। মনে মনে আপনি ঠিক করে ফেলেছেন ওর সাথে সামনে কখনও দেখা হলে (তা নতুন বয়ফ্রেন্ড সহই হোক না কেন) আপনি ওকে ওর নতুন লাইফের জন্য কনগ্র্যাচুলেট করবেন – যেন এতোটুকু মানসিক শক্তি আপনি অর্জন করেছেন।
আপনার মধ্যে মেয়ে দেখলেই আগ্রহ জন্মাচ্ছে। বন্ধুকূলকেও জানিয়ে দিয়েছেন আপনি রেডি – হয়তো খুঁজতেও বলে দিয়েছেন।
উপসর্গ:
১. অনলাইনে/ফেইসবুকে বা ফ্রেন্ডের মাধ্যমে নতুন মেয়েদের সাথে পরিচয় হওয়া মাত্র তাৎক্ষণিকভাবে রিলেশনের জন্য মনস্থির করা। (যদিও আপনি নিজেও জানেন ৯৯% চান্স যে সেটা কাজে আসবে না)
২. ডার্টি জোকস/গালি প্রিয়তা – যদিও আপনি এসবের জন্য মোটেও বিখ্যাত নন।
৩. নিজের মধ্যে সাময়িক লুইচ্চামি গ্রো করা।
৪. হঠাৎ করে আপনার মনে হচ্ছে রিলেশনে থাকা অবস্থায় জগৎটা অনেক সহজ ছিলো, সবকিছু খুব নিশ্চিৎ ছিলো – হাত বাড়ালেই আরেকটা হাতের ছোঁয়া, চাইলেই একটা কাঁধে মাথা রাখা। কিন্তু এখন রিলেশন ভেঙে যাওয়াতে জগৎটাকে অনেক কঠিন মনে হচ্ছে। আবারও নতুন করে রিলেশন, আবারও নতুন করে শুরু আদৌ হবে কিনা – ধারণাটাকে অলরেডি আপনি প্রশ্নবিদ্ধ করতে শুরু করেছেন। ঠিক প্রথম রিলেশনটার আগে যেমনটা মনে হয়েছিলো আপনার।
এই পর্যায়টা ব্রেক আপের সবচেয়ে ইমোশনাল পর্যায়। একই সাথে গুরুত্বপূর্ণও – কেননা এই সময়ে নেয়া যে কোন সিদ্ধান্ত আলটিমেটলি জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারে।
ব্রেক আপের এ পর্যায়ে কারো ভেতর থেকে যে ইমোশনগুলো বেরিয়ে আসে তা একদমই Raw ইমোশন। অধিকাংশের ক্ষেত্রেই ইমোশনটা বেরোয় বুক ফাটা কান্না বা তীব্র মানসিক বেদনার রূপে। তবে ব্যতিক্রমী কারো কারো ক্ষেত্রে ব্রেকআপ স্বাভাবিকভাবে মেনে নেয়ার প্রবণতা লক্ষ্য করা যায়। তবে যেটাই হোক না কেন, তা স্বাভাবিকের বাইরে, এর সবই আবেগের বশে।
যাদের জন্য ব্রেকআপটা কষ্টের তাদের মন মানেনা… “কেন আমিই এতো দুর্ভাগা” – এই প্রশ্ন বারবার ফিরে আসে মনে।
ব্রেক ঠিক পরপর এই তাৎক্ষণিক পর্যায়টিতে অধিকাংশ মানুষ ৩টি কাজের একটি করে:
ক. নিজের ক্ষতি করে (আত্মহত্যা, ড্রাগস ইত্যাদি)
খ. যে মেয়ের সাথে রিলেশন ছিলো তার ক্ষতির চেষ্টা করে (ফেইসবুক/ইমেইল হ্যাক, নেটে বাজে ছবি ছাড়া, মোবাইল নাম্বার ম্যানিপুলেশন)
গ. যার কারণে এই ব্রেক আপ (অন্য আরেক ছেলে হতে পারে) তার ক্ষতির চেষ্টা করে। এবং আরেকটি টাইপ আছে যারা এই ৩টির একটিও করে না – They just let it go. এরা আবার ৩ প্রকার:
ক. মন খারাপ করে থাকার দল
খ. ’এই বেশ ভালো আছি’ বেশ ধরা দল
গ. ঘন্টায় ঘন্টায় নতুন রিলেশন আর ব্রেকআপের কারণে এদের মনে ব্রেকআপ আর নতুন করে কোন অনুভূতির জন্ম দেয় না – সেই দল (সঙ্গতঃ কারণেই এই পোস্টে তাদের কথা আলোচনা করা হয়নি)
উপর্সগ:
১. শুধু ওকে ফোন দিতে ইচ্ছে করে/দেখা করতে ইচ্ছে করে/মনে হয় এখনই গিয়ে দেখা করি – যদি জানা আছে তাতে সিদ্ধান্ত বদলাবে না।
২. নিজে থেকেই নিজের দোষ/ত্রুটি বের করে ব্রেকআপের পিছনে নিজের দোষগুলো খুঁজে বের করা – যদিও হয়তো আদতে নিজের কোন দোষই নেই।
৩. ওর রেখে যাওয়া স্মৃতি চিহ্নগুলো হাতে নিয়ে নেড়েচেড়ে দেখা… মন আরও খারাপ করা। কেউ কেউ অবশ্য এগুলো নষ্ট করে ফেলে।
কমন ডায়ালগ:
১. “আমার তো কোন দোষ ছিলো না… তাহলে কেন….?
২. “সব মেয়ে এক…” (এটা একটা বিশেষ টাইপের ছেলেরা বলে)
৩. “আমি আর কখনও রিলেশন করতে পারবো না…”
অত্যন্ত ইমোশনাল এ পর্যায়টাকে ঠিক শব্দে প্রকাশ সম্ভব নয়। যতো কম বলে শেষ করা যায় ততোই ভালো। তাই পরের পর্যায়ে চলে যাচ্ছি।
২য় পর্যায়, সান্ত্বনা:
আপনার ফ্রেন্ডকূল এবং পরিচিতরা যারা আপনার রিলেশনের ব্যাপারে জানতো তারা এ পর্যায়ে ঝাঁপিয়ে পড়বে আপনাকে সান্ত্বনা দিতে। বিশ্বাস করুন আর নাই করুন, মনে মনে আপনার বেশির ভাগ বন্ধুই (স্পেশালি যাদের রিলেশন আছে) কিন্তুই খুশি। খুশি এ জন্য যে – “যে এটলিস্ট তারা আপনার মতো এতো দুর্ভাগা না…”। এটা মানুষের আদি ধর্ম। অপরের বিপদের কথা চিন্তা করলে সচেতন বা অবচেতনভাবে আমাদের মন আনন্দ পায়।
“জাস্ট ঐ কষ্টকর পরিস্থিতিতে সে নেই” – এই চিন্তাটাই মনে আনন্দের খোরাক জোগানোর জন্য যথেষ্ট। এটা খারাপ কিছু নয়। এটা মানুষের ধর্ম। ইনফ্যাক্ট এটার কিছু ভালো দিক আছে। যেমন ধরুন, যেদিন আপনার ব্রেকআপের কথা আপনার ফ্রেন্ডরা শুনলো, পরের বার তাদের গার্লফ্রেন্ড/বয়ফ্রেন্ডের সাথে আলোচনায় এ প্রসঙ্গটা একবার হলেও অন্ততঃ উঠবে। তখন তারা একে অপরকে প্রমিস করবে – তারা কখনও এভাবে বিচ্ছেদ ঘটাবে না। রিলেশন যে পর্যায়েই থাকুক না কেন – তারা আবারও নতুন করে অনুধাবন করবে, একে অপরকে পেয়ে তারা কতোটা লাকি। নিজেদের রিলেশনের অবস্থা নিয়ে শঙ্কিত ছিলো, এমন কাপলদের নিজেদের সমস্যা আর কিছু বলে মনেই হবে না। প্রিয় বন্ধুর ব্রেকআপের পর এ সময়টায় গার্লফ্রেন্ড/বয়ফ্রেন্ড হঠাৎ করেই একটু বেশিই সুইট হয়ে যেতে পারে – তবে এটা টেম্পোরারি। এর কোন স্থায়ী প্রভাব নেই।
যাই হোক এ পর্যায়ে ফ্রেন্ডকূল ও পরিচিতদের সান্ত্বনা আর উপদেশ বাণীতে সিক্ত হবেন আপনি -
১. “যা হয়েছে ভালো জন্য হয়েছে…” (হ তোরে কইসে!)
২. “জীবন কারো জন্য থেমে থাকে না…”
৩. “এটা ক্যারিয়ার গড়ার সময়…” (নরমালি এটা বন্ধুরা না, স্বজনেরা বলে)
৪. “নিশ্চয়ই তোমার কপালে জন্য এর চাইতেও ভালো কিছু অপেক্ষা করছে…”
৫. “থাক দোস্ত… বাদ দে…”
৬. “ফ্রেন্ডদের সাথে সময় কাটাও…”
৭. “ব্যাপার না… সব ঠিক হয়ে যাবে…”
৮. “চল বাইরে চল…”
আপনার রিলেশন সম্পর্কে আপনার ফ্রেন্ডদের আগে না বলা কিছু তথ্যও উঠে আসতে পারে এ পর্যায়ে -
১. “এমনিতেও এই রিলেশন নিয়ে তোর পরে সমস্যা হইতো…”
২. “ওর চাইতে হাজার গুণ বেটার মেয়ে তুই পাবি…” (৫ মাস আগেও “তোদের দেখে ঈর্ষা হয় বলার পর”)
৩. “এমনিতেও ওর অনেক সমস্যা ছিলো…”
৪. “আমার কেন জানি আগে থেকেই মনে হচ্ছিলো রিলেশনটা টিকবে না…”
৩য় পর্যায়, নিজেরে বুঝাই:
ব্রেক আপের এই পর্যায়টা একান্তই নিজের। নিজের জীবন, ক্যারিয়ার সব কিছুই নতুন করে শুরু করার একটা প্রত্যয় এই স্টেজে জন্মায়। এ পর্যায়ে একটা ছেলে এমন অনেক কিছুই করবে, যা সে সাধারণ অবস্থায় কখনোই করতো না। এমন অনেক কাজ সে করবে যা এইতো ক’দিন আগেও তার কাছে ছ্যাবলামি মনে হতো। এমন অনেক মানুষ যাদের সাথে দীর্ঘদিন কোন যোগাযোগ ছিলো না/ বা অনেকটা ইচ্ছে করেই এড়িয়ে গিয়েছে তাদের সাথে যোগাযোগ বাড়তে পারে। পুরো ব্যাপারটাই আসে জীবনে সামগ্রিক পরিবর্তনের একটা চিন্তা থেকে।
৪র্থ পর্যায়, বন্ধুদের সাথে সময় কাটানো:
এ পর্যায়ে সুযোগ পেলেই বন্ধুদের সাথে সময় কাটানোর একটা প্রবণতা দেখা যায়। বাসার বিভিন্ন কাজে এবং ফ্যামিলি মেম্বারদের সাথে অন্তরঙ্গতা বাড়ে। পুরো দুনিয়া কেমন একটা ’মায়ার চশমা’ দিয়ে ফিল্টার হয়ে চোখে এসে ধরা দেয়। মানুষের উপকার করতে ইচ্ছে করে। মানুষের সাথে একটু বেশিই নরমভাবে কথা বলার প্রবণতাও দেখা যায়।
উপসর্গ:
১. বন্ধুবান্ধবদের সাথে বের হয়ে তাদের বয়ফ্রেন্ড/গার্লফ্রেন্ডেদের মধ্যে রিলেশনের অন্তরঙ্গতা দেখে খুব প্রচন্ড ঈর্ষা ও অস্বস্তি।
২. কথায় কথায় বন্ধুদের কাছে – “ইশ ও এইটা করতো…”, “আই উইশ ও এইটা দেখতো…” বা “আমি আর ও প্রায়ই এটা করতাম…” – টাইপের কতাবার্তা।
৩. সুযোগ পেলেই মানুষকে নিজের ব্রেকআপের কথা জানানো, সহানুভূতির আশায় নয় – এটার মধ্যে কোথায় যেন ক্রেডিট নেয়ার মতো বিষয় আছে।
৪. “জীবনে অনেক কিছু দেখে ফেলেছি…” টাইপের মানসিকতা।
৫. ফেইসবুকে নিজের জীবনদর্শন তুলে ধরে স্ট্যাটাস দেয়া। কারো কারো স্ট্যাটাস দেখলে মনে হবে আর কিছুক্ষণের মধ্যেই সে আত্মহত্যা করতে যাচ্ছে।
৬. দাড়ি রাখা।
৫ম পর্যায়, আমি যেন কার আশায আশায় থাকি:
এতোদিনে আপনার ব্রেকআপের ঠিক পরপর টাটকা ক্ষত অনেকটাই শুকিয়ে গেছে। তবে পরিচিত যায়গা, পরিচিত মানুষ দেখলে বুক ফাঁকা ফাঁকা লাগে। পরিচিত জায়গা দিয়ে কোথাও যাওয়ার সময় আগের কথা মনে পড়ে। সাথে একটা ভয় কাজ করে যদি দেখা হয়ে যায় – তাহলে কি হবে? আবার মনে মনে ঠিকও করে ফেলেন দেখা হলে কি করবেন। যদিও ভয় পাচ্ছেন দেখা হওয়ার বিষয়টা চিন্তা করে, আবার কাইন্ড অফ যেন চাচ্ছেনও দেখা হোক।
৬ষ্ঠ পর্যায়, নতুন করে আবারও:
ব্রেকআপের স্মৃতি মনে আর অবশিষ্ট নেই তেমন একটা -শুধু খুব অকেশনালি মনে পড়ে। মনে মনে আপনি ঠিক করে ফেলেছেন ওর সাথে সামনে কখনও দেখা হলে (তা নতুন বয়ফ্রেন্ড সহই হোক না কেন) আপনি ওকে ওর নতুন লাইফের জন্য কনগ্র্যাচুলেট করবেন – যেন এতোটুকু মানসিক শক্তি আপনি অর্জন করেছেন।
আপনার মধ্যে মেয়ে দেখলেই আগ্রহ জন্মাচ্ছে। বন্ধুকূলকেও জানিয়ে দিয়েছেন আপনি রেডি – হয়তো খুঁজতেও বলে দিয়েছেন।
উপসর্গ:
১. অনলাইনে/ফেইসবুকে বা ফ্রেন্ডের মাধ্যমে নতুন মেয়েদের সাথে পরিচয় হওয়া মাত্র তাৎক্ষণিকভাবে রিলেশনের জন্য মনস্থির করা। (যদিও আপনি নিজেও জানেন ৯৯% চান্স যে সেটা কাজে আসবে না)
২. ডার্টি জোকস/গালি প্রিয়তা – যদিও আপনি এসবের জন্য মোটেও বিখ্যাত নন।
৩. নিজের মধ্যে সাময়িক লুইচ্চামি গ্রো করা।
৪. হঠাৎ করে আপনার মনে হচ্ছে রিলেশনে থাকা অবস্থায় জগৎটা অনেক সহজ ছিলো, সবকিছু খুব নিশ্চিৎ ছিলো – হাত বাড়ালেই আরেকটা হাতের ছোঁয়া, চাইলেই একটা কাঁধে মাথা রাখা। কিন্তু এখন রিলেশন ভেঙে যাওয়াতে জগৎটাকে অনেক কঠিন মনে হচ্ছে। আবারও নতুন করে রিলেশন, আবারও নতুন করে শুরু আদৌ হবে কিনা – ধারণাটাকে অলরেডি আপনি প্রশ্নবিদ্ধ করতে শুরু করেছেন। ঠিক প্রথম রিলেশনটার আগে যেমনটা মনে হয়েছিলো আপনার।
যে কারণে বেশী বয়সের নারীর প্রতি আকৃষ্ট হয় তরুণরা
লক্ষ লক্ষ অবিবাহিত ও সুন্দরী তরুণী বিস্মিত হন এই ভেবে যে কেন ছেলেরা তাদের চেয়ে বেশী বয়সের নারীদের প্রতি বেশি আকৃষ্ট হয়। দিন দিন এই ধরনের সম্পর্কের মাত্রা বেড়েই চলেছে। এতে অবাক হওয়ার কিছু নেই। বেশী বয়সের নারীর মধ্যে শারীরিক ও চারিত্রিক বহু আকর্ষণীয় বৈশিষ্ট আছে। আর এগুলো তারা সুন্দরভাবে মেলেও ধরতে পারেন। ছেলেরা এই লুকায়িত সৌন্দর্যই খুঁজে বেড়ায় এবং এতে মুগ্ধ হয়। সবচেয়ে বড় কথা সুন্দরী, অবিবাহিত তরুণীরা যত আকর্ষণীয় হোক না কেন একজন মধ্যবয়স্ক নারীর পূর্ণতার কাছে অনেক ক্ষেত্রেই আনাড়ি তারা। নিষিদ্ধের প্রতি তরুণদের এ আকর্ষণ চিরন্তন।
এখন অনেক ছেলে মধ্যবয়স্ক নারীকে পাওয়ার আকাঙ্ক্ষায় অনেকটাই উন্মুখ। এ ব্যাপারটা প্রকাশেও তারা কোন রাখঢাক রাখছে না। এই হার ক্রমশই বেড়ে চলেছে। কিন্তু কেন? বিশেষজ্ঞরা কিছু কারণ খুজেঁ বের করেছেন।
আত্মবিশ্বাস
একজন মধ্যবয়স্ক নারী এটা ভালো করেই উপলব্ধি করতে পারেন যে তারা অন্যদের চেয়ে আলাদা। তিনি নিজের সম্পর্কে ভালোভাবেই জানেন। আর তাই তার ভেতরটা আত্মবিশ্বাসে পরিপূর্ণ থাকে। এই ভারসাম্য ও আত্মপ্রত্যয়ী মনোভাবই তাকে ভেতর থেকে তীব্র আবেদনময়ী ও আকর্ষণীয় করে তোলে। আত্মবিশ্বাসী নারীরাই পুরুষের কাছে কাম্য। আত্মবিশ্বাসী নারীরা ছকবাঁধা নিয়মে চলতে পছন্দ করে, তারা নিজের জগতে কখনও সন্ত্রস্ত হয় না।
নারীর এই দৃঢ় রূপ ও আবেদনময়ী চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যে ছেলেরা মুগ্ধ হয়। তাই ক্রমশ: পুরুষ একজন মধ্যবয়স্ক নারীর প্রতি আগ্রহী হয়ে ওঠে। এই ধরনের নারীর সাথে সময় ব্যয় করা করা খুবই সহজ, তার চাওয়া থাকে খুব কম। তার সঙ্গ উপভোগ্য এবং জীবন সম্পর্কে টলটলে জলের মত স্বচ্ছ ধারনা রয়েছে তার। তাদের আত্মবিশ্বাস পুরুষের মাঝে সঞ্চারিত হয় কম নাটকীয়তা ও অবাধ আনন্দের সাথে।
দায়িত্বশীলতা
একজন মধ্যবয়স্ক নারী নিজেকে গড়ে তোলার জন্য যথেষ্ট পরিশ্রম করেন। নিজে কী চান সেটা তারা ভালো করেই জানেন তাই তাদের লক্ষ্য স্থির ও স্বচ্ছ থাকে। মধ্যবয়স্ক নারীই পারে একজন মানুষকে জীবনের আঁকাবাঁকা পথ চেনাতে, আস্থা তৈরি করতে, ওপরে উঠার প্রবল ইচ্ছাশক্তি তৈরি করতে এমনকি প্রবল আত্মসম্মানবোধ তৈরি করতে। জীবনের অভিজ্ঞতা থেকে তিনি একটি মানুষকে কল্পনার জগতে ভেসে বেড়াতে নয়, জীবনের অমোঘ বাস্তবতা শেখাতে পারেন। এটি একজন তরুণের কাছে নির্ভরতার জায়গা।
স্বাধীনতা
সাধারণত অধিকাংশ মধ্যবয়স্ক নারী কোন ভনিতা ছাড়াই পুরোপুরি খুশি থাকে। একজন পুরুষকে তার আবশ্যিক করে তোলার কোন দরকার পড়ে না। তিনি কখনোই তার ওপর নির্ভর করেন না, এমনকি তার নিজের ডিনার অথবা কফির বিল নিজেই দেয়ার মানসিকতা রাখেন।
আপনি কি কোন জটিল মানসিক গেম আপনার প্রিয়জনের সাথে খেলতে পারবেন? ভালো করে চিন্তা করে দেখুন। মধ্যবয়স্কা নারীরা কখনোই কোন গেম খেলতে যান না কারন তাঁরা ভালো করে জানেন তাঁদের কী প্রয়োজন। মানসিক এবং আর্থিক স্বাধীনতা একটি মানুষের জীবনের গুরুত্বপুর্ণ অর্জন।
সততা
একজন মধ্যবয়স্ক নারী পুরুষকে বিশ্বাস এবং সততার স্তরগুলো ভালোভাবে শিখিয়ে নিতে পারেন। প্রেম, ভালোবাসা, বিয়ে যে কোনো ধরনের সম্পর্কেই শ্রদ্ধা একটি গুরুত্ত্বপূর্ণ ব্যাপার। মধ্যবয়স্ক নারী তার দৈনন্দিন জীবনে অত্যন্ত দক্ষতার পরিচয় দেন। তার মধ্যে সততা, বিশ্বাস এবং শ্রদ্ধাবোধ প্রবল থাকে। একজন মধ্যবয়স্ক নারী কখনোই একাধিক পুরুষের প্রতি কামনা রাখেন না। যে পুরুষটি অন্য একাধিক নারীদের সাথে ডেট করছে তার প্রতি এ নারীরা কখনোই আগ্রহ প্রকাশ করেন না।
অভিজ্ঞতা
একজন মধ্যবয়স্ক নারী জীবনে একাধিক সম্পর্কে জড়িয়েছেন তাই তার অভিজ্ঞতাও অনেক। জীবনের ছোটখাট সবধরনের সম্পর্কের অভিনয় তিনি নিখুঁতভাবে বিবেচনা করতে পারেন । এটা কীভাবে সমাধান করা যায় যায় সেটাও তিনি ভালো জানেন। মধ্যবয়স্ক নারী যথাসময়ে আবেগী হয়ে ওঠেন এবং পুরুষটির সাথে সত্যিকার গাঢ় সম্পর্ক স্থাপন করার চেষ্টা করেন। তিনি প্রিয় মানুষটির কাছে নিজেকে এমন ভাবে মেলে ধরেন যাতে সেই মানুষটি তাকে সহজভাবে পড়তে পারে। ফলে তিনি একজন ভালো মানুষ, একজন ভালো বন্ধু, এমনকি দীর্ঘ চলার পথে ভালো একজন সঙ্গী হতে পারেন।
পারস্পরিক বোঝাপড়া
একে অপরের মধ্যে যদি বোঝাপড়া ভালো না হয় তাহলে সম্পর্কের শুরুতেই হোঁচট খেতে হয়। তীব্র আগ্রহ মুখ থুবড়ে পড়ে। সম্পর্কের মধ্যে বোঝাপড়াটা খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান। অর্থময় বোঝপড়া সম্পর্ককে আনন্দময় করে তোলে। আর এটা গড়ে ওঠে মধ্যবয়স্ক নারীর জীবনের অভিজ্ঞতা শেয়ারের মাধ্যমে। পারস্পরিক কথোপকথন জীবনের গল্পকে থামিয়ে দিবে না, বরং জীবনের গতিকে বাড়িয়ে দেবে। পরস্পরকে ভালো করে বুঝে ওঠার পথ তৈরি করে দেবে। যে পুরুষটি শুধু সেক্স এবং একটু মুগ্ধতার চোখে তাকানোর জন্য অপেক্ষা করতো সেই পুরুষটির মধ্যেও এই নারীর প্রতি শ্রদ্ধাবোধ জেগে ওঠে।
নিবিড় যৌন সম্পর্ক
বিছানায় একজন মধ্যবয়স্ক নারী যথেষ্ট অভিজ্ঞ, সে তার চরম মুহূর্তের চাওয়া পুরুষটিকে বলতে দ্বিধা করে না। তৃপ্তিময় যৌনতায় তিনি সব ধরনের অনিরাপদ ভীতিকর ব্যাপারগুলোর উর্ধ্বে থাকেন। এই খোলামেলা সততাই দুজনকে সুখের চরম পর্যায়ে নিয়ে যায়। আমরা যদি কাউকে `সেক্সুয়ালি স্যাটিসফাইড` বলি সেটা অবিশ্বাস্যভাবে সেই ব্যক্তিকে আত্মবিশ্বাসী ও ভেতর থেকে সতেজ করে তোলে। মধ্যবয়স্ক নারীর এই ধরনের গুনাবলী একজন পুরুষকে সহজেই সন্তুষ্ট করে। অন্যান্য বড় কারণ ছাড়াও এই কারণে মধ্যবয়স্ক নারীর প্রতি পুরুষেরা বেশি আকৃষ্ট হয়। এ নারীরা বিছানায় অত্যাধিক প্লেফুল, রোমাঞ্চকর হন। পুরুষটির মাঝে নিজেকে উৎসর্গ করে দিতে পারেন।
মধ্যবয়স্ক নারীর মধ্যে এমন কিছু বৈশিষ্ট্য থাকে যা তাকে তার সঙ্গীর সাথে গভীরভাবে যুক্ত করে। এখন পুরো ব্যাপারটাই সেইসব পুরুষদের হাতে যারা উদারমনষ্ক, আত্মবিশ্বাসী, আবেদনময়ী এবং স্বনির্ভরশীল নারীদের নিকট হতে শিখতে দ্বিধাবোধ করে না।
এখন অনেক ছেলে মধ্যবয়স্ক নারীকে পাওয়ার আকাঙ্ক্ষায় অনেকটাই উন্মুখ। এ ব্যাপারটা প্রকাশেও তারা কোন রাখঢাক রাখছে না। এই হার ক্রমশই বেড়ে চলেছে। কিন্তু কেন? বিশেষজ্ঞরা কিছু কারণ খুজেঁ বের করেছেন।
আত্মবিশ্বাস
একজন মধ্যবয়স্ক নারী এটা ভালো করেই উপলব্ধি করতে পারেন যে তারা অন্যদের চেয়ে আলাদা। তিনি নিজের সম্পর্কে ভালোভাবেই জানেন। আর তাই তার ভেতরটা আত্মবিশ্বাসে পরিপূর্ণ থাকে। এই ভারসাম্য ও আত্মপ্রত্যয়ী মনোভাবই তাকে ভেতর থেকে তীব্র আবেদনময়ী ও আকর্ষণীয় করে তোলে। আত্মবিশ্বাসী নারীরাই পুরুষের কাছে কাম্য। আত্মবিশ্বাসী নারীরা ছকবাঁধা নিয়মে চলতে পছন্দ করে, তারা নিজের জগতে কখনও সন্ত্রস্ত হয় না।
নারীর এই দৃঢ় রূপ ও আবেদনময়ী চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যে ছেলেরা মুগ্ধ হয়। তাই ক্রমশ: পুরুষ একজন মধ্যবয়স্ক নারীর প্রতি আগ্রহী হয়ে ওঠে। এই ধরনের নারীর সাথে সময় ব্যয় করা করা খুবই সহজ, তার চাওয়া থাকে খুব কম। তার সঙ্গ উপভোগ্য এবং জীবন সম্পর্কে টলটলে জলের মত স্বচ্ছ ধারনা রয়েছে তার। তাদের আত্মবিশ্বাস পুরুষের মাঝে সঞ্চারিত হয় কম নাটকীয়তা ও অবাধ আনন্দের সাথে।
দায়িত্বশীলতা
একজন মধ্যবয়স্ক নারী নিজেকে গড়ে তোলার জন্য যথেষ্ট পরিশ্রম করেন। নিজে কী চান সেটা তারা ভালো করেই জানেন তাই তাদের লক্ষ্য স্থির ও স্বচ্ছ থাকে। মধ্যবয়স্ক নারীই পারে একজন মানুষকে জীবনের আঁকাবাঁকা পথ চেনাতে, আস্থা তৈরি করতে, ওপরে উঠার প্রবল ইচ্ছাশক্তি তৈরি করতে এমনকি প্রবল আত্মসম্মানবোধ তৈরি করতে। জীবনের অভিজ্ঞতা থেকে তিনি একটি মানুষকে কল্পনার জগতে ভেসে বেড়াতে নয়, জীবনের অমোঘ বাস্তবতা শেখাতে পারেন। এটি একজন তরুণের কাছে নির্ভরতার জায়গা।
স্বাধীনতা
সাধারণত অধিকাংশ মধ্যবয়স্ক নারী কোন ভনিতা ছাড়াই পুরোপুরি খুশি থাকে। একজন পুরুষকে তার আবশ্যিক করে তোলার কোন দরকার পড়ে না। তিনি কখনোই তার ওপর নির্ভর করেন না, এমনকি তার নিজের ডিনার অথবা কফির বিল নিজেই দেয়ার মানসিকতা রাখেন।
আপনি কি কোন জটিল মানসিক গেম আপনার প্রিয়জনের সাথে খেলতে পারবেন? ভালো করে চিন্তা করে দেখুন। মধ্যবয়স্কা নারীরা কখনোই কোন গেম খেলতে যান না কারন তাঁরা ভালো করে জানেন তাঁদের কী প্রয়োজন। মানসিক এবং আর্থিক স্বাধীনতা একটি মানুষের জীবনের গুরুত্বপুর্ণ অর্জন।
সততা
একজন মধ্যবয়স্ক নারী পুরুষকে বিশ্বাস এবং সততার স্তরগুলো ভালোভাবে শিখিয়ে নিতে পারেন। প্রেম, ভালোবাসা, বিয়ে যে কোনো ধরনের সম্পর্কেই শ্রদ্ধা একটি গুরুত্ত্বপূর্ণ ব্যাপার। মধ্যবয়স্ক নারী তার দৈনন্দিন জীবনে অত্যন্ত দক্ষতার পরিচয় দেন। তার মধ্যে সততা, বিশ্বাস এবং শ্রদ্ধাবোধ প্রবল থাকে। একজন মধ্যবয়স্ক নারী কখনোই একাধিক পুরুষের প্রতি কামনা রাখেন না। যে পুরুষটি অন্য একাধিক নারীদের সাথে ডেট করছে তার প্রতি এ নারীরা কখনোই আগ্রহ প্রকাশ করেন না।
অভিজ্ঞতা
একজন মধ্যবয়স্ক নারী জীবনে একাধিক সম্পর্কে জড়িয়েছেন তাই তার অভিজ্ঞতাও অনেক। জীবনের ছোটখাট সবধরনের সম্পর্কের অভিনয় তিনি নিখুঁতভাবে বিবেচনা করতে পারেন । এটা কীভাবে সমাধান করা যায় যায় সেটাও তিনি ভালো জানেন। মধ্যবয়স্ক নারী যথাসময়ে আবেগী হয়ে ওঠেন এবং পুরুষটির সাথে সত্যিকার গাঢ় সম্পর্ক স্থাপন করার চেষ্টা করেন। তিনি প্রিয় মানুষটির কাছে নিজেকে এমন ভাবে মেলে ধরেন যাতে সেই মানুষটি তাকে সহজভাবে পড়তে পারে। ফলে তিনি একজন ভালো মানুষ, একজন ভালো বন্ধু, এমনকি দীর্ঘ চলার পথে ভালো একজন সঙ্গী হতে পারেন।
পারস্পরিক বোঝাপড়া
একে অপরের মধ্যে যদি বোঝাপড়া ভালো না হয় তাহলে সম্পর্কের শুরুতেই হোঁচট খেতে হয়। তীব্র আগ্রহ মুখ থুবড়ে পড়ে। সম্পর্কের মধ্যে বোঝাপড়াটা খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান। অর্থময় বোঝপড়া সম্পর্ককে আনন্দময় করে তোলে। আর এটা গড়ে ওঠে মধ্যবয়স্ক নারীর জীবনের অভিজ্ঞতা শেয়ারের মাধ্যমে। পারস্পরিক কথোপকথন জীবনের গল্পকে থামিয়ে দিবে না, বরং জীবনের গতিকে বাড়িয়ে দেবে। পরস্পরকে ভালো করে বুঝে ওঠার পথ তৈরি করে দেবে। যে পুরুষটি শুধু সেক্স এবং একটু মুগ্ধতার চোখে তাকানোর জন্য অপেক্ষা করতো সেই পুরুষটির মধ্যেও এই নারীর প্রতি শ্রদ্ধাবোধ জেগে ওঠে।
নিবিড় যৌন সম্পর্ক
বিছানায় একজন মধ্যবয়স্ক নারী যথেষ্ট অভিজ্ঞ, সে তার চরম মুহূর্তের চাওয়া পুরুষটিকে বলতে দ্বিধা করে না। তৃপ্তিময় যৌনতায় তিনি সব ধরনের অনিরাপদ ভীতিকর ব্যাপারগুলোর উর্ধ্বে থাকেন। এই খোলামেলা সততাই দুজনকে সুখের চরম পর্যায়ে নিয়ে যায়। আমরা যদি কাউকে `সেক্সুয়ালি স্যাটিসফাইড` বলি সেটা অবিশ্বাস্যভাবে সেই ব্যক্তিকে আত্মবিশ্বাসী ও ভেতর থেকে সতেজ করে তোলে। মধ্যবয়স্ক নারীর এই ধরনের গুনাবলী একজন পুরুষকে সহজেই সন্তুষ্ট করে। অন্যান্য বড় কারণ ছাড়াও এই কারণে মধ্যবয়স্ক নারীর প্রতি পুরুষেরা বেশি আকৃষ্ট হয়। এ নারীরা বিছানায় অত্যাধিক প্লেফুল, রোমাঞ্চকর হন। পুরুষটির মাঝে নিজেকে উৎসর্গ করে দিতে পারেন।
মধ্যবয়স্ক নারীর মধ্যে এমন কিছু বৈশিষ্ট্য থাকে যা তাকে তার সঙ্গীর সাথে গভীরভাবে যুক্ত করে। এখন পুরো ব্যাপারটাই সেইসব পুরুষদের হাতে যারা উদারমনষ্ক, আত্মবিশ্বাসী, আবেদনময়ী এবং স্বনির্ভরশীল নারীদের নিকট হতে শিখতে দ্বিধাবোধ করে না।
যে ধরনের নারীদেরকে এড়িয়ে চলবেন
নারীকে নিয়ে জগতে নাটকীয়তার কম নেই। নারীকে কেন্দ্র করেই দাবানল জ্বলেছে ট্রয়নগরীতে। এখনো সংসারে নারীকে নিয়ে দুর্ভোগ কিন্তু কম হয় না। তবে এটা নারীর কোনো দোষ নয়। স্বভাব সুলভ ভাবে নারীরা একটু বেশি আবেগপ্রবণ। তাই না বুঝেই নানা বিপত্তির জন্ম দেয়। সাধারণত পাঁচ ধরনের নারীকে নিয়েই দুর্ভোগ হয় বেশি। তাই সবচেয় ভালো এই ধরনের নারীকে এড়িয়ে চলা। এক্স গার্ল্ড ফ্রেন্ড সংসারে সুখী হতে চাইলে আগেভাগেই সিলগালা করতে হবে পুরানো সম্পর্কের পাঠ। সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার পর নস্টালজিয়ায় ভুগলেই ঘটবে বিপত্তি। তাই মোটেও আর পেছনে ফেরা নয়। সব রকম দুঃখবোধ ভুলে পুরোপুরি এড়িয়ে চলুন পুরোনো বন্ধুকে।
পাত্তা দেয়া যাবে না ঘনিষ্ঠবন্ধুর ছোট বোনকে
বন্ধুর সঙ্গে গলায় গলায় ভাব থাকবে এটাই স্বাভাবিক। তবে সযত্নে এড়িয়ে চলা চাই তার ছোট বোনের সান্নিধ্য। কেননা এই সম্পর্ক কেবল বন্ধুত্বের মধ্যেই দূরত্বের সৃষ্টি করে না, অনেক ক্ষেত্রেই শত্রুতেও পরিণত করে। তাই বন্ধুর ছোট বোনটি যদি মুখোমুখি হয়ে যায় তবে সম্পর্কটা দেখা-দেখির মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকা ভালো। সে যেন কাঁধে মাথা রাখার সুযোগ না পায়। কেননা তাহলে নিজের জীবনটাও বরবাদ হবার সম্ভাবনাই বেশি। দুজনের মধ্যে কোনো মতদ্বৈততা দেখা দিলে তখন আশ্রয় মেলা ভার। বিনোদিনী নারী সমাজে এমন কিছু নারী আছে যাদের সঙ্গে ডেটিং করে বেশ মজা পায় পুরুষরা। কিন্তু এই নারীরা আখেরে সাক্ষাৎ জম হয়ে হাজির হয়। তাদের নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি কেবল মন্দ সংবাদই বহন করে। তাই ঘুণাক্ষরেও তাদের ধারে কাছেও না ঘেঁষাই বুদ্ধিমানের কাজ। এই ধরনের অতিফুরফুরে মেজাজিদের প্রলোভনে পা দিলেই অনুতাপ করা ছাড়া বন্ধ হয়ে যাবে সব পথ।
খুঁতখুঁতে নারী যতই সঞ্চয়ী হোক না কেন, দূরে থাকা চাই খুঁত খুঁতে স্বভাবের নারীদের থেকে। কেননা নানা বাতিকে এ ধরনের নারী বিপন্ন করতে পারে পুরুষের উদ্যমতা। কথায় কথায় তারা অভিযোগ করে। অফিসে একটু বেশি সময় লাগলেই বাধ সাধে। অথচ কঠোর পরিশ্রমের দিকে ফিরে তাকানোর মতো বিবেচনা বোধ থাকে না। এখানেই শেষ নয়, যখন সম্পর্কটাই ভেঙে যেতে বসে তখনও তাদের বিষম ব্যবহারে ভুল বোঝে ভালো বন্ধুরাও।
বন্ধুর সাবেক স্ত্রী ফুরফুরে থাকতে চাইলে অবশ্যই বন্ধুর সাবেক স্ত্রী-থেকেও যোজন দূরে থাকতে হবে। তার সঙ্গে পূর্ব থেকেই ভালো দোস্তি থাকলেও এড়িয়ে যেতে হবে। সম্পর্ক ভেঙে যাবার পর বন্ধুর যেসব সাবেক স্ত্রীরা ঘনিষ্ঠ হতে চায় তাদের থেকে সাবধান। কেননা এরা অপ্রীতিকর অবস্থার জন্ম দেয়। সমাজিক মর্যাদার জন্যও তাদের এড়িয়ে চলা বুদ্ধিমানের কাজ।
পাত্তা দেয়া যাবে না ঘনিষ্ঠবন্ধুর ছোট বোনকে
বন্ধুর সঙ্গে গলায় গলায় ভাব থাকবে এটাই স্বাভাবিক। তবে সযত্নে এড়িয়ে চলা চাই তার ছোট বোনের সান্নিধ্য। কেননা এই সম্পর্ক কেবল বন্ধুত্বের মধ্যেই দূরত্বের সৃষ্টি করে না, অনেক ক্ষেত্রেই শত্রুতেও পরিণত করে। তাই বন্ধুর ছোট বোনটি যদি মুখোমুখি হয়ে যায় তবে সম্পর্কটা দেখা-দেখির মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকা ভালো। সে যেন কাঁধে মাথা রাখার সুযোগ না পায়। কেননা তাহলে নিজের জীবনটাও বরবাদ হবার সম্ভাবনাই বেশি। দুজনের মধ্যে কোনো মতদ্বৈততা দেখা দিলে তখন আশ্রয় মেলা ভার। বিনোদিনী নারী সমাজে এমন কিছু নারী আছে যাদের সঙ্গে ডেটিং করে বেশ মজা পায় পুরুষরা। কিন্তু এই নারীরা আখেরে সাক্ষাৎ জম হয়ে হাজির হয়। তাদের নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি কেবল মন্দ সংবাদই বহন করে। তাই ঘুণাক্ষরেও তাদের ধারে কাছেও না ঘেঁষাই বুদ্ধিমানের কাজ। এই ধরনের অতিফুরফুরে মেজাজিদের প্রলোভনে পা দিলেই অনুতাপ করা ছাড়া বন্ধ হয়ে যাবে সব পথ।
খুঁতখুঁতে নারী যতই সঞ্চয়ী হোক না কেন, দূরে থাকা চাই খুঁত খুঁতে স্বভাবের নারীদের থেকে। কেননা নানা বাতিকে এ ধরনের নারী বিপন্ন করতে পারে পুরুষের উদ্যমতা। কথায় কথায় তারা অভিযোগ করে। অফিসে একটু বেশি সময় লাগলেই বাধ সাধে। অথচ কঠোর পরিশ্রমের দিকে ফিরে তাকানোর মতো বিবেচনা বোধ থাকে না। এখানেই শেষ নয়, যখন সম্পর্কটাই ভেঙে যেতে বসে তখনও তাদের বিষম ব্যবহারে ভুল বোঝে ভালো বন্ধুরাও।
বন্ধুর সাবেক স্ত্রী ফুরফুরে থাকতে চাইলে অবশ্যই বন্ধুর সাবেক স্ত্রী-থেকেও যোজন দূরে থাকতে হবে। তার সঙ্গে পূর্ব থেকেই ভালো দোস্তি থাকলেও এড়িয়ে যেতে হবে। সম্পর্ক ভেঙে যাবার পর বন্ধুর যেসব সাবেক স্ত্রীরা ঘনিষ্ঠ হতে চায় তাদের থেকে সাবধান। কেননা এরা অপ্রীতিকর অবস্থার জন্ম দেয়। সমাজিক মর্যাদার জন্যও তাদের এড়িয়ে চলা বুদ্ধিমানের কাজ।